সেই নীরার মতো  (১৮)


বড় অভিযোগ আজ দাড় করালে তুমি,
আমার হাজারো হাজারো কবিতায় নাকি,
শত শত প্রেমের নিত্যনতুন আস্তানা গড়েছি আমি?
শত শত নব্য প্রেয়সীর, কারো চোখ, কারো মুখ,
কারো কারো হাসি কুড়িয়ে, অস্রু জড়িয়ে,
কবিতায় আমার পঙতিমালা, ছন্দের গাথুনী,
নীরা, সেখানে তুমি নিজেকে খুঁজে পাওনি?
বড় অভিযোগ আজ দাড় করালে নীরা।
সময়ের কিছু বাধভাঙ্গার খেলা, কিছু পিছুটান,
কিছু বাস্তবতার বিস্রী নিয়ম অনিয়মের শৃংখলে,
বেধে যেতে হয়, কিছু ক্ষনিকের ছলনায়,
আলতো, উপরি প্রেমের বাহানায়,
ডান অনামিকা ধরে গিয়েছিলাম কিছু দূর,
নীরা নাম্নী সেই মহিলা ছিল কি না জানি না,
তবে সে হাত শুধু তোমারই ছিল,
আজ তুমি মনে করে দিলে,
সেটা নাকি তোমার অনামিকা নয়।
আমার কল্পনায় যেটা ছিল না এতকাল।
আমার কবিতার সব চোখ, নীরার চোখ,
সব হাসি যা শুনেছি, তা নীরার,
আমার চোখে যে জল আসে, তা নীরার জন্যই আসে,
লালমাটির রাস্তা ধরে, আমার হাতের আংগুল ধরে,
যে মহিলাকে দেখেছ, সেই ছিল নীরা।
পাশাপাশি হাত ধরে একান্ত  আলিঙ্গণে,
যতবারই আলতো  চুমুতে ভরেছি চোখে, মুখে,
তোমার শুভ্র বুকের খোলা জমিনে।
সেই তুমি ছিলে নীরা।
তোমার সে ইচ্ছে রবে কেন অপুরন,
আমার জন্য তোমার কষ্ট,
আমি বুঝি,
নীরা।



১৬/১০/১৯