সেভাবেই বেশ ছিলাম, ছক-বাধা নিয়মেই ছিলাম,
হৃদয় পটে ছিল না কারোর পদচারণ,
রোজ রোজ ঘরে ফেরা, গোধূলির পরে পরে নির্জন খুঁজে,
একলা একলা বসে থাকা। আকাশের চাঁদটা দেখা,
মিটিমিটি তাঁরা গোনা, মহাশূন্যের সাথে যোগাযোগ।
অন্ধকার হাতড়ে আলো খোজা, সেভাবেই বেশ ছিলাম।


কবিতা তখন খুঁজেছি চাদের বুকে, আকাশের নীলিমায়,
ভরা জ্যোৎস্নার খাজে খাজে, মেঘের বাকে বাকে,
কবিতা খুঁজে পেয়েছি পাখির ঠোঁটে,
আমার ফেলে আসা চোখের জল আর বেদনায়।
তুমি ছিলে না তখন, কবিতার পাতায় পাতায়,
ছন্দে, বর্ণে, তালে, কবিতার নাম ভুমিকায়।
তুমি ছিলে না নীরা।


আমার অনুর্বর প্রেম, অকর্ষিত থেকেছে বহুকাল,
তোমার ছোঁয়ায় এতটা জেগে উঠে,
এতটা পরশ পেতে ছিল আকুল, তৃষ্ণার্ত,
তুমি না আসিলে তা থেকে যেত অজানা চিরকাল।
আমি বুঝিনি কখনো।
নীরা তোমার বুকে এতটা জাদু মাখানো?


প্রদীপের শিখার মতো সামান্য বাতাসের তোড়ে,
নিবে গেলে তুমি সহসাই,
আর জ্বলে উঠো নাই আজও,
আলো হারিয়ে সেই আগের মতো অন্ধকারে,
আমারে রেখে দিলে নীরা আবারও
সেভাবেই ত বেশ ছিলাম নীরা,
হটাৎ স্বপ্ন নাই বা দেখালে নীরা।