লজ্জাবতী



লজ্জাবতী র খুব কাছে গিয়ে বললাম, তোমাকে নিতে এসেছি,
সে চুপচাপ শুনলো। 
বললাম আর লজ্জিত হইওনা,
টবে তে তোমাকে যত্নে রাখব, সার দেবো,  জল  দেবো
বেশ দেখে শুনে রাখব আদরে, প্রেমে
কিন্তু ছোব না।
এতটা অশ্লীল আমি নই।
সব সময় ছুতে হবে?
কাছে পেলেই ছুতে হয়?
দূর থেকে দেখব।
কিছুটা তফাতে দাঁড়াব,
তোমার ফুটন্ত গোলাপি ফুলগুলো এতটা লোমশ,
স্পর্শ করতে চাই কিন্তু ফিরিয়ে নেই লোভী আংগুল।
তুমি বড্ড অপছন্দ কর, ছুতে গেলেই,
তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে রাখ নিজেকে।


একটা সময় লজ্জা থাকে, সেটা বুজি।
ধিরে ধিরে ত জানাশোনা হয়।
কথা হয়, প্রেম হয়, স্পর্শ হয়,
ঘোমটার অঞ্চল ছোট হয়ে আসে দিনদিন।
লজ্জা নেমে আসে শুন্যের কোটায়।
শরীরে ভাজ পড়তে ধরলে ত আর কথাই নেই,
উদাসীন হয়, এপাশ ওপাশ হয় হোক না,
তাতে কি বাজারে এটা নট ফর সেল এর মতো।


কিন্তু তুমি?
তুমি হোক না যুবতী, না হোক শরীরে পড়েছে ভাঁজ,
পাতাগুলো হোক না উস্ক খুস্ক, বাজারে চলুক আর না চলুক,
লজ্জা তোমার সাথে গাঁট বেঁধেছে বুজি?
ছুতে পারিনা তোমাকে কখনো ইচ্ছেমতো।


লজ্জাবতী টা বেশ পাতা গজিয়ে উঠেছে, ফুল ফুটছে,
তাকে আজ সেটার কাছাকাছি বসিয়ে বললাম,
খালি পেটে রোজ রোজ এর পাতার রস খাবে।
কি হবে তাতে?
লজ্জা শরম কিছুটা বাড়বে,
তোমার না হোক আমার কাজে আসবে।
না না না আমার লাগবে না,
তার চেয়ে তুমি খেয়ে নিবে, কমে যাচ্চে লজ্জা  তোমার দিন,দিন
আমি ত হেসে হেসে হলাম খিন খিন।
লজ্জাবতী টা আজ আমায় লজ্জা দিয়েছে।



২৯/৬/১৯