তোমার  দীর্ঘশ্বাস যখন পড়লো আমার শরীরে,
যেন নীলাভ তেজস্ক্রিয়, কালনাগিনীর বিষ,
বিধলো আমার গায়ে,
আমার সাদা আস্তিন নীল পদ্ম হয়ে গেল।
চোখ খুলে দেখি, সব পথ নীল হয়ে এলো,
রক্তিমা কৃষ্ণচূড়ার সব ফুল একে একে,
নীলা হতে হতে কৃষ্ণচূড়া হয়ে গেল অচেনা তরু।
বাকলের খাঁজে খাঁজে ভেসে এলো যেন,
কালনাগিনীর হাজারো খোরাসান চোখ।
পাখিগুলো অস্থির  থরথর, ডানা মেলায় আকাশে,
কিন্তু একি!
সারা আকাশের মেঘ, যেন অতন্দ্রিতা নীলাদ্রির মতো,
ঘুমহীন চোখে তাকিয়ে থাকে পাখিদের দিকে।
ভীত, সন্ত্রস্ত, দিশাহীন,
এদিন ওদিকে ক্লান্ত ডানায় ওড়াওড়ি।
আমার সাদা বিছানার চাদর, যা ছিল দুধের মতো এতদিন,
আজ তা নীলাভ, যেন নীলিমার ছড়াছড়ি।
কালো চোখের মনি নীল, আয়নার মুখোমুখি হতেই,
আঁতকে উঠি।
দৃশ্যমান সব যেন আজ এক একটা নীল পদ্ম ফুল,
সারা বাগানের ফুটন্ত সব গোলাপ নীলকামিনী আজ,
চাঁদের আলোয় শুধু নীল রশ্মির বিকিরণ,
দুধের গ্লাস হাতে নিয়ে দেখি,
সব দুধ আজ বিষ,
আমি ত আর শিবের মতো নীলকন্ঠ নই।
তবে কি নীলকন্ঠ হব, নীলাভ দুধ পান করে?
তোমার দীর্ঘশ্বাস মানে আমার নীলাভ পৃথিবী।