কি যে খুশি হলাম আজ তোমাকে দেখে,
মুখে আজ তোমার আগুনের গোলা ,
মিছিলের অগ্রে গগন ভেদি গর্জনে গর্জনে,
থরথর কাপছে শাসকের খুটি।
কপালে ধরেছ কালো টিপ,
মুখাবয়বের ছবি ঢেকে রেখেছ কালো কাফনে।
ইস এভাবেই যদি তুমি বারবার নেমে যেতে রাস্তায়,
অলিতে-গলিতে তোমার গরম চরণের আঘাতে,
ভেসে যেত অতীতের সব অন্যায়।
আজ সাদা চামড়া দেখে পথে নেমেছ,
আজ কালো চামড়া দেখে পথে নেমেছ,
আজ তোমার রক্তের ধারা দেখে পথে নেমেছ
আজ মাথার টিকি দেখে পথে নেমেছ
আজ তোমার পক্ষের মানুষ দেখে পথে নেমেছ
বলো এভাবে প্রতিবাদ হয়?
যে মেয়েটি একদিন রাস্তায় মার খেতে খেতে,
রক্তের হোলিতে ভাসলো শরীর,
যার যোনীপথ ফেঁটে চৌচির করে,
উদোম শরীর দেখে অসভ্য উল্লাসে
আনন্দে মেতে করেছে উৎসব।
তারা তোমার শরীরের গন্ধ মাখা লোক।
তুমি সেদিন টিপ্পনী কেটেছ।
তুমি সেদিন চুপচাপ ছিলে।
নিরেট পাথরের মতো চুপচাপ ছিলে সেদিন।
এমন স্ববিরোধী মানুষ কি প্রতিবাদী হয়?
তাকে কি মানায়?
যতদিন ভেদাভেদ ভুলে রাস্তায় নামতে পারবে না,
তোমার এসব ফ্যাশন ছাড়া কিছু নয়।
ততদিন হতে থাকবে শুধু অন্যায়।