রাজাধিরাজ, মহাপতি আজি ক্রোধ ভরিয়া প্রানে,
তুলি-ছে পদযুগল ক্লান্তি ভরিয়া পায়চারী অকারণে।
দুটো হাত বাধিয়া পশ্চাতে, ভাবনার দোলাচলে দুলিছে বুজি,
আজি নিস্তার নেই বুজি, সেনাপতি ভাবনায় নিস্তার খুজি।
কুর্নিশ করিয়া আগেপিছে, উজির, কাজী করিল প্রবেশ,
রাজা আপন মনে করিছে পায়চারী, বদন ভরা ঘন মেঘের বেশ।
আজি যেই রুপে রাজা, কেহ দেখে নাই তাহা কোন কালে,
উজির জানিবে ভালো, রাজা খেলিছে শিশুকাল তাহারই কোলে।
তাহারই কোলে ঘুরিছে ধরণী, শিখেছে যতবিদ্যা, হাতেকড়ি,
কভু দেখেনি তাহারে এতটাই অগ্নি রুপি।
তাহার ও চিন্তার উদ্রেক ঘটিছে, ভাবনার দোলাচলে দুলিছে সবাই,
কিরুপে রাজা আজি কোমল হইবে, সবার ভাবনায় তাই।
কাহারও মুখে সরিছে না কথা, নিসার, নিস্তব্ধ রাজদরবার
থাকি-থাকি শুধু চাওয়া চাওয়ি, কাহারো মুখে কথা নাই আর।
অন্দরমহলে রানী। পর্দার আড়ালে বসিয়া  ক্রন্দনরত,
দু আঁখি ভরা জল গড়িতেছে অবিরাম, অবিরত।
অন্ন ছাড়ি-ছে রাজকুমারী, হাতে হাতে ফলমুল,
কত খাদ্যের বাহার হাতে বাদীনির দল।
দুটো মুখে নেন, রাজকুমারী, নয়তো আপনার প্রান শঙ্কায়,
কি জবাব দেব আমরা, রাজা আমাদের গর্দান নিবে হায়।
শুনিয়া রাজকুমারী স্ফীত হাসিয়া কহে,
মরনের ভয় আমার আজি আর নহে।
তার চেয়ে সেই ভালো খুজিয়া লইয়া আনিও জহর,
হাসি মুখে করিব পান, মৃত্যুর হাতে সঁপিব প্রাণ এক্ষুনি।
ক্রন্দন শব্দ যেন রাজার গোচর না পারে ছুতে,
রানীও তটস্থ তাহা ভাবিয়া বসিয়াছে পিছে।
সাহস ধরিয়া কাজী কহিলেন, হুজুর  শান্ত হোন এবার,
হুকুম পাইলে বিচার কার্য সুচনা করি তার।
অগ্নি চক্ষু কপালে তুলিয়া রাজা কহিলেন না আর কিছু,
শিকল পরানো একটা যুবক হাজির কোতলের পিছু পিছু।


চলবে।