সেনাপতি রাগে গদগদ, অসি চাপিয়া বসিল আপন আসনে,
যদি রাজা বলিত শুধু তাহারে,  গর্দান ফেলিত অসি র কোপাতে।
যুবকের পানে চাহিয়া রাজা, শান্ত সুরে, কিছু কহিবার চাহ কি তবে?
যুবক কহিল, নত শিরে, আমার দু'হাতে শৃ ংখল,
তাহা ছিন্ন বিনে, আমি ফরিয়াদ করিব কেমনে?
রাজদন্ড, তাহা শিরোধার্য,
রাজা বিচারক, তাহার আজ্ঞা হয় যদি তব,
আমার অপরাধ গুনে।
বনবাস নাকি শুলিতে আমার প্রাণ প্রদীপ যাবে নিভে,
আমার ডর নেই তথায়, জীবনের মায়ায় ভিক্ষা চাই না তবে।
রাজা এবার উঠিল, ছাড়িল সিংহাসন অগ্রে আসিয়া যুবকের,
নিজ হস্তে ছিন্ন করিল ছিল যত শৃংখল, বন্ধন।
রাজা তারপর গিয়ে বসিল, পূর্বা সনে।
রাজা কহিল এবার,
বল যুবক, তুমি এবার শৃংখল মুক্ত, যাহা বলিতে চাও তাহা বল,
রাজকুমারীর পানে চাহিবার সাহস তোমার কোত্থেকে এলো?
এতকাল হলো, আমার কিশোরীর মুখোমুখি দাড়াবার হিম্মত,
আমার রাজ্যে কভু কেহ করে নাই,
তুমি একটা ভিনদেশী যুবক, তোমার ছাতিতে কি ডর আসে নাই?
বন্ধু দেশের সামান্য প্রজা তুমি, নয়তো তোমার শির রহিত না ঘাড়ে।
যুবক হাসিল স্ফীত,
রাজকুমারীর পানে চাহিবার হেন অপরাধ, কিবা আছে সাজা তার,
সব প্রজা তাহা জানিতে চায়, কাজীর বইয়ে কি লেখা তার?
শুনিয়া কাজীর মুখ শুকিয়ে আসিল, ঘাটাঘাটি শুরু করিল এবার,
এমন অপরাধ নেই যে পুস্তকে, শুস্ক মুখ তাহাই বলিল এবার।


চলবে।