অজস্র বছর যদি ঝুলন্ত সেতুর মতো ঝুলে পড়ে থাকতো,
সূর্য।
যদি না আসতো আঁধার কালো রাত।
তবুও হারাতে হতো না হয়তো অনেককে।
এখানে  রাত মানে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের উপর,
ক্ষেপণাস্ত্র আর মিসাইলের দগ্ধ চুম্বন।
সাইরেনের শব্দে লাপাত্তা ভীতু ঘুম।
পরিজনের পোড়া মাংসের গন্ধে,
ক্লান্ত বাতাস।
এখানে রাত মানে মৃত্যুর আগাম প্রস্তুতি।
এফ সিক্সটিন এর চক্কর।
মেশিনগান, মটার।
বোমারু বিমানের উৎসব।
ক্ষেপণাস্ত্র, রকেটের ঘন ব্যস্ততার তোড়জোড়।
আয়রন ডোমের চিৎকারে
আমরা বহুদিন এক ঘরে ঘুমাইনি,
কখনো চাইনা এক বোমার আঘাতে,
অন্য ঘরগুলো অনাথ হয়ে যাক।
আমরা চারটি মানুষ।
চারটি ঘর।
তেল আবিবের বুক থেকে উড়ে আসা,
গাজা, জেরুজালেম, নাজারাত, হাইফা, ওয়েস্ট ব্যাংকের
রাতের আকাশে যখন বিমানের ব্যস্ত চক্কর খায়,
আমরা, আমাদের স্রষ্ঠা কে ডাকি।
সাহায্য কর।
গাজার দালান গুলো হয়তো ঘুমিয়ে পড়ে,
পাখিরা ওড়াওড়ি করে মাতালের মতন,
আমরা জানালার পর্দা সরিয়ে দূরের নক্ষত্র আর চাঁদের আলো দেখে আফসোস করি।
কেন রাত আসে?
আমাদের চোখ রাতে ঘুমায় না,
আমাদের চারটি ঘরের কোন একটা ঘরে বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবার অপেক্ষা গুনি,
তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য,
আমরা একসাথে সবাই মরতে চাইনা।
আমরা বহুদিন ধরে এক ঘরে ঘুমাইনি,
তোমাদের জন্য আমাদের কাউকে না কাউকে,
বেঁচে থাকতে হয়।