সেই নীরার মতো  (২০)



ষাটের দশকের শেষ প্রান্তে এসে, এক গোধুলীর ম্রিয়মাণ,
আবছা আবছায়া আলোকচ্ছটা ময় সন্ধ্যায়,
শেষ বার দেখা করতে এসেছিলে তুমি।
মাখামাখি আলো অন্ধকারে কষ্ট করে খুঁজে নিতে হয়,
তোমার চিবুকের পূর্ব কোনের সেই কালো তিল,
যেখানে আমার দৃষ্টি ছুয়েছে, আমার ডান হাতের আংগুল,
যেতে দাওনি কখনো তুমি,
বারে বারে ফিরে দিয়েছ হাত,
আলতো বাধা, টলমল চোখে।
আমি প্রতিবাদ করিনি।
তবে বুকে জমেছিল খেদ, অনুতাপ,
সেটা চেপে রেখেছি বুকে।
সেই আফসোস আমার আজো ঘুচেনি।
আমি তো  লোভহীন নই নীরা।
তোমার তিল আমি স্পর্শ করব না কেন?
বাহু ডোরে সারাটা বিকেল অলিগলিতে হারাবো না কেন?
যেতে যেতে উড়ো চুল তোমার, মুখে আমার পরশ দিবে না কেন?
পার্কের বেঞ্চে তোমার কোলে মাথা রাখব না কেন?
কথার ছলে, অপ্রস্তুত নীরা, তোমার ঠোঁটে,
আমার চুমু আজও পড়েনি কেন?
আমি তো লোভহীন নই নীরা।


সেই তুমি আজ এতকাল পর এলে আমার  চৌকোঠ মাড়িয়ে,
আমার অগোছালো বিছানার কোণে,
জবুথবু হয়ে এই যে চুপচাপ বসে আছো
হাত বাড়াতেই তুমি আজও বাধা দিলে,
চিবুকের সেই কালো তিল আজও,
আজও ছুঁতে চাই,
আমি তো লোভহীন নই নীরা।



১৭/১০/১৯