খুব করে ভেবে দেখেছি,
একটা লোক তোমার হাত ছুঁয়ে দেখে রোজ রোজ,
কপালে চুমু খায়, জড়িয়ে ধরে ঘুমায়,
সে নাকি তোমাকে ছাড়া ঘুমাতে যায় না,
সে কেন বদলে যাচ্ছে রোজ রোজ?
শরীরে তার জমেছে মেদ,
আকাশ ছুঁই ছুঁই একটা বড় পেট।
আমি ত স্বপ্নে ছুঁই তোমাকে রোজ রোজ,
কপাল ছুঁই, ঠোঁটে কামড় বসাই,
হাত বুলাই সারা শরীরে, বুকে, নিতম্বে,
কোথায় রেখেছে বাকি আমার ঠোঁট ছুঁতে?
সারাটা রাত আমি ও চেপে রাখি বুকে,
ভুলে ও আলগা হয়না দুটো হাত।
কই আমার শরীরে তো মেদ জমছে না।
দেখেছ আমাকে? 
কতটা টগবগিয়ে রইছি আমি,
সুন্দর, মেঁদহীন, চিরন্তন যুবকের মতো।
একটা লোক যে তোমার বিছানায় ঘুমায় রোজ রোজ,
তার সাথে তোমার নিত্য সহবাস,
বছর বছর সন্তান, শরীর দিচ্ছ অকাতরে,
তাকে দেখছ?
কেমন হচ্ছে সে রোজ রোজ?
গাল ফুলে বেলুনের মতো,
কোমরের মাপ নাকি পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই।
সে মাটিতে পা রাখলে মাটির দম বন্ধ হয়ে আসে,
একটা রিক্সায় জায়গা হয়না দুজনের।
সে তো তোমার বুকে ঘুমায়, তোমার বক্ষদেশে তার অবাধ  চারণভূমি,
তোমার শরীরের প্রত্যেক লোমের সাথে লোকটার জানাশোনা। পরিচয়।
তুমি তাকে শরীর দিয়েছ বলেই কি লোকটা পচে যাচ্ছে?
আমি তোমাকে  স্বপ্নে ছুঁয়ে থাকি বলেই কি আজও টগবগিয়ে?