তোমার আমার কথামালা গুলো,
এভাবে একদিন রুপোর মতো ঝকমক করবে,
আজ তাই ভাবি।
মনের ভিতরে কই  ছিলো?
সর্বনাশ হয়ে যেত,
যদি আমার আংগুলের আঁচড়ে,
ভুল করে মুছে যেত?


তা বুঝতে পারি আজ।
আজ যখন একা  হলাম,
তুমি যখন অতীত।
আমার কপালে তুমি নামক নেই, সেই তাজ।
যদি আহ্লাদী হয়ে  মুছে দিতাম?
রেগেমেগে মুছে দিতাম?
রোজকার আলাপন।
সরলী কথামালা,
কথার ফুলঝুড়ি,
আর বিস্তৃত ডালপালা।
যদি বেখেয়ালে মুছে যেত,
তবে কি হতো?
আজ তাই ভাবি, সর্বনাশ হয়ে যেত।


স্কিনের সেই কথা গুলো,
আমাকে নাকি  ভালোবাসো।
রোজ রোজ কতো বলো।
প্রতিজ্ঞার শপথ শত,
চিরন্তন রয়ে যাবে,
অজস্র তোমার লেখাগুলো।
আজ ও সাক্ষী হয়ে বলছে।
আজ তুমি যখন নেই,
তবে লেখা গুলো রোজ রোজ কথা বলছে।
আমাকে এখনো ভালোবাসছে।
কত সর্বনাশ হয়ে যেত বল,
যদি মুছে যেত?


এই যে এখন,
তুমি নেই।
কিন্তু রোজ রোজ  তো রাত আসে।
তুমি নেই,
কিন্তু দীর্ঘশ্বাস তো, আমাকে পিষে।
তখন কান্নার জলে ভেসে ভেসে,
হাটু গেড়ে বসি  তোমার মুখোমুখি,
অতীতের কথামালায় তোমাকে খুজি।
হন্য হয়ে খুজি,
সারারাত খুজি।
সেই লাইন হাজারো পড়ি,
যেখানে লিখেছিলে তুমি,
ভালোবাসো আমায়।
তুমি কি মানো?
রোজ রোজ রাতে
রুপোর মতো ঝকমক করে,
আমাদের কথাগুলো?
এখনো ভাবি,
যদি তোমার কথা গুলো,
চিরন্তন সত্য ভেবে,
মুছে দিতাম?
কি সর্বনাশ হয়ে যেত।