"একটা" 
কবিতা কেন লিখতে হবে শুনি?
এমন আবদার কোত্থেকে উড়ে আসে তোমার?
তুমি বললে হাজার কবিতা লিখি,
কবিতার উথাল পাথাল স্রোতের অতল বুকে,
শুভ্র জামা জড়িয়ে তোমার তেজদীপ্ত শরীরের,
সব উষ্ণ খাজগুলো আলতো ঢেকে,
তোমাকে ভাসানো যায় রাজহংসী রুপে।


আমাকে" একটা " কবিতা লিখতে বল না।
আমি পারবো না।
বড়  কমতি হয়ে যাবে, অবিচার হয়ে যাবে,
আমার উপর,
পুরো মহাকাব্য লিখে লিখে যদি,
শেষ লাইনের গা ঘেঁষে বসি,
সারসের মতো নিখুঁত বিন্যাসের চোখজোড়ার,
রুপের মাধুকরী কারুকার্য,
আমার সব কবিতার গায়ে গায়ে আলপনা শেষে ও,
রয়ে যাবে।
তবু্ও রয়ে যাবে বিস্তর বাকি।


এই যে তুমি যখন হাসো,
ঠিক তোমার নামের মতো
মুক্তোর দ্যুতির জলজল কিরণের ধার,
আমার রেটিনায় তার বিকিরণ কতো,
এমন তেজদীপ্ত হাসি,
আহত করে আমার বিধ্বস্ত,
বুকের ভিতর।
তুমি কি তা মানো?


কেন "একটা"  কবিতা লিখতে বল?
কবিতার বংশ ঘটাই না হররোজ,
বারেবারে,
নিয়ত হোক মুক্তো,
তোমার জন্য কবিতা,
আমার ব্যস্ততার নিদারুণ,
ফুসরত প্রহরে।