সারাটি সকাল যখন শুন্য সুরে,
শহুরে দাঁড়কাক ঠায় দাঁড়িয়ে-
অচেনা কোন বারান্দার রেলিংয়ের পরে।
মনে হয়, নির্লোভ বসে থাকায়,
নেই বুঝি কোন মগ্নতা এ বিশ্ব সংসারে।
তবু নির্লোভ দাঁড়কাকের প্রহেলিকায়,
দেখা হয় প্রতি সকালের ভোরে।


সারাটি বেলা যখন সে রইল বসে,
তাঁর ফিরতি চিঠির অপেক্ষায়।
মনে হয়, এখনও বিমোহিত,
সেই কিশোরী বেলার ভুল প্রতীক্ষায়।
তবু এ যেন  অপেক্ষা অনিঃশেষ-
ভাসে তার রেশ, বিমোহিত চোখ জোড়ায়।


সারাটি দুপুর যখন কেটে যায়
অবেলার অবহেলায়।
মনে হয়, পুরনো এক বিষণ্ণতা
গ্রাস করেছে নিস্তব্ধতার আবছায়ায়।
তবু সকল নিস্তব্ধতায় অচেনা সুর-
হঠাৎ চেনা দুপুর, চোখ মেলে চায়।


সারাটি বিকেল যখন ভুল রঙে-রঙিন হল
দুঃখী সাদা ক্যানভাস।
মনে হয়, প্রচ্ছন্ন প্রচ্ছদে বিদীর্ণ মেঘ সরে এল
রঙিন আকাশ।
তবু মন খারাপ তার, রঙিন হবার অপেক্ষায়
রংহীন ক্যানভাস যার।


সারাটি গোধূলি লগ্নে যখন শহুরে চড়ুই ডাকাডাকি,
গহীনে কি অদ্ভুত অদৃশ্য দুঃখবোধ!
মনে হয়, দিনের শেষ বৃষ্টি-জল-কাদায় মাখামাখি,
হেরে যাওয়া কোন যুগলবন্দীর গতিরোধ।
তবু যুগলেরা বন্দী হয় বন্ধুর পথে থাকি,
সন্ধির সুরে ডাকি।


সারাটি রাত্রির আঁধারে যখন জোনাকিরা
আর কথা বলতে চাইল না।
মনে হয়, এ যেন-অন্য কোন অধিকার ছাপিয়ে
ভুল স্বাক্ষরিত বিদীর্ণ নিস্তব্ধতা।
তবু অনুভব করি জ্বেলে ক্ষীণ আলো,
বিদীর্ণ নিস্তব্ধতায় কি আশ্চর্য মুগ্ধতা!


রচনাকালঃ ১৩/০৩/২০১৮