প্রিয় অবানতিকা


এ চিঠিটা তোমার জন্য
হয়তো এ চিঠি  তুমি কোনদিন  পাবেই না
আকাশের নীল রঙ যেমন হারিয়ে যায় হাজার রঙের আলপনায়, পাখিদের কলরব সাজের মায়ায় লুকায়, জীবনের দীর্ঘশ্বাসে মিশে যায় শত প্রাণের আকুতি তেমনি হয়তো আমিও মুছে গেছি তোমার মানচিত্রে
আর ছায়া চিহ্নের মত আবছায়া হয়ে দূর কুয়াশায় মিশে আছো আমার জীবনে।


প্রিয় অবানতিকা


মেনে নেওয়ার এই জীবনে
পেয়েছি অনেক আবার হারিয়েছিও অসংখ্য,
অতিথি পাখির মত এদিক সেদিক করে
কোন এক সন্ধ্যা আয়োজনে তোমার নগরী তে
আমার সেই মায়া মিশে গিয়েছিলো শুধু তোমাতে
আজো সেই মায়া নিষ্পাপের মত অসহায় অপলক চেয়ে আছে।


প্রিয় অবানতিকা


বাগানের সব ফুল নজরে আসেনা
কিছু ফুল অজান্তেই ঝরে পরে নিষ্ঠুর অযত্ন আর অবহেলায়।
লজ্জা, অভিমান, বিষাদে মাটিতে মিশে যায়
অপমানের লাঞ্ছনা
কেউ তাকে ভালোবেসে একটু চেয়েও দেখেনি
সব সৌরভ দুর্গন্ধের মত আত্বহুতির বিষ হয়ে জ্বালিয়ে দেয় ভেতর বাহির সব, সব!


প্রিয় অবানতিকা


দূর আকাশের চাঁদ বড়ই মমতার, খুব সুন্দর
তাকে নিয়ে কত গল্প-কবিতা!
আঁধার রাতের মেঘ সরিয়ে রুপোলী আলোয়
তার সে কি রূপ!
এত গল্প কবিতায় সে কবে কার হয়েছে
তা কি বলতে পারো?


প্রিয় অবানতিকা


রাতের আঁধার কেটে আরেকটা দিনের জন্ম হয়
কত ব্যস্ততা তার!
প্রতিদিন সে শিশু, কৈশোর, যুবক, বৃদ্ধা
প্রতিদিন তার জন্ম প্রতিদিন তার মৃত্যু!
তবুও  তার অপেক্ষায় প্রতিটি আয়োজন।


প্রিয় অবানতিকা


এ চিঠি তুমি পাবেনা জানি;
তবুও বলছি
তুমি চাঁদের মত সবার হয়েও যেন কারো নও
একটা দিন আসে আবার চলে যায়
তবুও তার প্রয়োজন কোনদিন ফুরোয় না
তুমি সেই না মিটানো বিঃষ্ময়!
কৃষ্ণচূড়ার গায়ে গায়ে তুমি সেই লাল রঙ
ভাবনার আকাশে তুমি সেই মায়ার আবির
শত রং-এ রাঙিয়ে আবার শত রং-এই হারিয়ে যাও।
তুমি সেই ভালোবাসা
নিঃশ্বাসের মত প্রাণ শক্তি, প্রশ্বাসের মত উন্মাদনা!
জীবনের এই মিছিলে
রাজপথের দাবিতে সবাই চেয়েছে তোমার ভালোবাসা
সেই মিছিলের সবার পেছনে অলক্ষ্য ছিল একজন যে কোনদিন  তোমার ভালোবাসা চায়নি....


ইতি
আগন্তুক