চারিদিকে কেমন যেন অস্থির বাতাস
কোমলতা নেই, স্নিগ্ধতা নেই, নেই কোন মায়ার আভা
দানবগুলো হাত বাড়িয়ে যেন ছোবল মারবে
বিষাক্ত সাপগুলো ফনা তুলে যেন ওৎ পেতে আছে
মারবে ছোবল,  ছিনিয়ে নিবে প্রাণবায়ু
বিষময় বিষাক্ত করে করে কবরে যেন
দেহটাকে অসার করে নামিয়ে দেবে --এমন ভয়ংকর পরিবেশ ।


তাতে কি!!! বিশ্বাস, সাহস ও দৃঢ়তা
এ তিনের সমাহারে হলো একটি তেজোময় দীপ্তি বড় শক্তি
কেউ পাশে নেই হঠাৎ এমন মনে হতে পারে, স্বাভাবিক
তবে অন্তরে এক তিল পরিমান বিশ্বাস ও আস্থা যদি থাকে
তার চেয়ে বড় আর কোন শক্তির নেই কোন প্রয়োজন
ভেঙে চুরমার, ধবংস ও বিলীন করে দিতে পারে যত বিষাক্ততা, দানবতার দানবীয়তা
শুধু প্রয়োজন কিছু সময় বিশ্বাসকে দৃঢ় করতে, আস্থাকে জ্বালিয়ে নিতে।।


তুমি যত বিচলিত হবে তত যেন দানবগুলো করবে লম্ফজম্ফ
তাই বিচলিত হতে নেই --একদম, এক বিন্দু পরিমানও
তুমি যত হবে অস্থির তত সাপগুলো মাথা উঁচু করবে তুলবে ফনা
তুমি যত ভয়ে মুহ্যমান হবে তত দ্রুত হবে তুমি দুর্বল
তুমি যত পালাতে চেষ্টা করবে তত হবে দানবগুলো হিংস্র
বরং স্থির থেকে যদি করো মোকাবেলা তাতেই হবে কোপকাট ।।


নিন্দা, অপমান, সমালোচনা, মিথ্যাচার এরা অপশক্তির কর্ণধার
এদের নেই কোন উজ্জ্বলতা, নেই কোন ভালবাসা, নাই কোন জীবন
এরা করে শুধু কলুষিত, দূষিত, অন্ধকার ও বিষময়
আনন্দকে করে বেদনাময়, সুখকে করে দুঃখময়, আলোকে করে আঁধার
তবে চুরান্ত শক্তিকে কখনো করতে পারেনা বিচলিত
আকাশের কালো মেঘের ন্যায় ক্ষনিক সূর্যে্র কিরণকে যেমন করে ম্লান
তেমনি ক্ষণিক তাদের শক্তি কারো জীবনকে, সময়কে কলুষিত করা ।।


যেখানে বিশ্বাস, সাহস ও দৃঢ়তা খেলা করে
সেখানে অপশক্তি করতে পারেনা ভিড়, করতে পারেনা আঘাত
দূরে সরে যেতে থাকে নিজের মত করে ধীরে ধীরে --
একদিন দূর আকাশে, অজানা ময়দানে বিলীন হয়, হয় পরাজিত
জয়ের মালা পরে হাজির হয় তখন বিশ্বাস ও আস্থা --
তোমার আমার জীবনের খেলা এমনই চলে, চলছে, চলবে-তাই হতে নেই বিচলিত ।।