বৈচিত্রময় আজব অথচ আজব এ দুনিয়াতে
তোমার আশেপাশের মানুষের কাছে
তুমি তাদের প্রত্যাশার কাছে যেন পাহাড়সম বাঁধা
অতি আপন, পরম আত্নীয় বন্ধু, প্রতিবেশী
সবাই বা বেশীর ভাগই উপরে মঙ্গল কামনা করে দেখাবে
অথচ তারা্ই মনে মনে চায়, সেই তোমারি করুণ দুর্দশা ।।


তোমার হাসি, তোমার আনন্দ
তোমার চলন বলন, তোমার কাজ তোমার প্রাপ্তি
তুমি কি পোষাক গায়ে জড়াও, কি তেল চুলে দাও
সব তাদের জানতে হবে
তুমি সবজি খাও নাকি ডাল খাও নাকি দুধ খাও
এসব তাদের জানতেই হবে, না জানলে শ্বাস নিতে যেন কষ্ট তাদের ।।


তুমি কাদের সাথে কথা বল
কাদের নিয়ে কি কাজ করো
কখন ঘুমাও, কখন আবার সকালে উঠো
কোথায় যাও, কোন দোকানের কি কিনো
দামী না সস্তা নাকি ভেজাল নাকি নকল বা আসল
সবই তাদের যেন যে কোন ভাবেই জানতেই হবে
তা হলে যে, রাতে ঘুম আসেনা তাদের ।।


তোমার পরিবার, তোমার ভাইবোন
তোমার আত্নীয়, তোমার বন্ধুমহল
সবার কাছে তোমাকে নিয়ে সমালোচনা যেন করতেই হবে
সত্য না মিথ্যা সেটি বড় কথা নয়
সমালোচনা, মিথ্যাচার ও রং লাগিয়ে হলেও তোমাকে করতে হবে ছোট
তোমাকে সুন্দর জীবনকে অযথা ঘোলা ময়লা করবেই
তা না হলে তাদের জন্ম যে সার্থক হবেনা ।


শরীরের কোন রোগ নয়, মরণব্যাধি ক্যান্সার নয়
কোভিড ১৯ বা করোনা রোগ নয়
যক্ষা, কুষ্ঠ, ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েড নয়
নয় কোন এলারজি, এটি এমন একটি নারকীয় মানসিক রোগ
যা এসব মানুষের অন্তরকে ছারখার করে
জীবিত থেকেও অন্তরের রোগে শোকে, প্রতিহিংসার ভয়ংকর রোগে আক্রান্ত, জর্জরিত
এ রোগ কোন এলারজি রোগ নয়, এমনিতেই ইটচিং(চুলকানি) হয় মনে ও মননে ।।


তাদের মনের এলারজি তাদের জ্বালাবে, তাদেরই ইটচিং বা চুলকাবে
তাদের দিনকালকে করবে নষ্ট, ভ্রষ্ট, ধবংস
তোমার তাতে কিছু যায় আসবেনা তবে মনে রাখতে হবে
যত তাদের কথা দিবে গুরুত্ব বা মূল্য তত তারা হবে উত্তেজিতে
এর চেয়ে তুমি তোমার কাজ তোমার মত তুমি করে যাও
নিজের লক্ষ্যস্থলে ছুটে চলো অবিরত নিজের মত করে
শেষ কথা হলো তুমি তোমার মত স্বাচ্ছন্দে চলবে--তারা তাদের মনের রোগে ভোগবে ।।