পাখিডাকা ভোরবেলা, এখনো রাত্রির আবাহন-
থামেনি, সুলগ্না, বিষপানে আমার বিস্মরণ
ঘটে গেছে, ভুলে গেছি দেয়া কথা, নেয়া ব্যথা
গণ্ডূষ ভরে কন্ঠে ধরেছি; এখানে বেদনার প্রস্রবণ
আকাশের গা বেয়ে প্রদোষে-প্রভাতে ঝরে!


কর স্নান মোহকুম্ভ-পুরিত জলে, চিকুরজাল অনাদরে
মেলো পৃষ্ঠদেশে, লুব্ধ হই, প্রেতের প্রায়-
কে যেন শতজন্ম শরীরত্যাগী বাতাসে ঘোরে ফেরে,
চাপা-ক্রন্দনে তার ক্রন্দসী যেন ঝড়ের বায়
হু হু করে, ক্ষণে ক্ষণে ঘুম ভেঙে যায়!


এভাবে বসে আছি, আকুল-তটে ভাঙা খেয়া-
দোলে, পাড়ে কিছু রিক্ত ঢেউয়ের তোড় লাগে চঞ্চল,
আমি ভুলে গেছি, কথা ছিল, ছিল কত কথা দেয়া,
আমি তার রাখিনি কিছুই, অকারণে কলকল-
স্রোতধ্বনির মত কিছু কবিতার অগোছালো কথা
বরং লিখে লিখে অভ্যস্ত হয়ে আছি!