কেমন এক স্থবিরতা পেয়ে বসেছে।


জানালার পাশে ভরা সন্ধ্যায়, আঁধারে যেমন


নেতিয়ে পড়েছে এক জোড়া জবা ফুল,


আমিও… আমাকে তেমন…


কি যেন অরতি-অরিষ্ট আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়ে


বয়ে যায়, কি যেন বিরহ-সমাকুল-


গানের সারেঙ্গীর তার ছিঁড়ে-


বড় অবসন্ন, অরুন্তুদ-


বড় বিচিত্র, অদ্ভুত-


এক স্তব্ধতা আমাকে ময়ালের মত


মুখে পুরে নিল!



চোখের পলক ফেলতেও পাহাড়-কাটা শ্রম লাগে,


অন্তরের অর্গল খুলি- সে শক্তিটুকু নেই,


বিষাদের বিষিত সব;


এমন এক অনভিব্যক্ত, অলঙ্ঘ্য বিষ্টম্ভ বিমর্ষতা-


কি এক বিমিশ্র অনুভব


আমাকে পথে পথে হেঁচরে নিয়ে যায়;


নিরুদ্দিষ্ট যুগযুগান্ত, নিরুদ্বেগে অচঞ্চল,


অথচ ভেতরে আমি ভীত ভুজঙ্গের মত-


উদগ্রীব, উদগ্র, সচল।


ত্রাসিত, হৃত-বল-


আমি আত্মসঞ্জাত কোন অরিঘ্নে আস্থাহীন হয়ে


আমাকে নিয়ে একলা পড়ে রই!



আমাকে এমন এক ক্রুর-


অতিক্রুর আড়ষ্টতা আড়াআড়ি ছেদ করে গেছে!