আমি কি কোন অপ্রাকৃতকে অবিশ্বাস করে বাঁচতে পারি না?
ধর যদি কোন ফুলের প্রতি অগাধ আস্থা রাখি?
কোন নদীর প্রতি আমার থাকে আমৃত্যু ভরসা?
অচেনা পাখির কলতানে আরাধনার সকল মন্ত্র যদি ভাসিয়ে দিই সুরে?
ভর দুপুরে গ্রীষ্ম-বাতাসে যদি বাসি সবচে’ ভাল—
আম্রমুকুল-ঘ্রাণ? যদি কোন মেঘের কোরকে বুনি স্বপ্ন,
যদি বর্ষাভেজা মাটির গন্ধে আমি পাই অনন্ত প্রাণ—
অনাহুত বহুশ্রুত অমিত-অপ্রতিম অধরা দেবতার?
বলি যদি, আমি এই ভেবে সুখে আছি,
বন্ধু, আমি কি তবে নরকে যাব?


দু’দশটা রাগিণী মূর্তি ভেতরে গড়ে বলেছি তারা মোক্ষদাত্রী,
চারটে-পাঁচটে কথার ছন্দ, আমি গেঁথেছি মালা,
ঘটি-বাটি-পেয়ালা-থালা, দু’হৃদয়, একটি সংসার—
সফেদ স্বর্গবাস, পুঁথিপত্র-বিধান-বিহীন;
ঘরময় দাপাদাপি আমার দুটি অবোধ মার্জার,
আর কিছু অল্প-স্বল্প বই, তানপুরা, হারমোনিয়াম—
অশেষ স্বরগ্রাম, আমি এতে মত্ত, আমি এসবে বিলীন,
প্রিয় সুহৃদ, আমি যে তদ্ভিন্ন কোথাও বাঁধিনি বুক,
তবে কি নরকে যাব?