কেন হৃদ মাঝে জপি তাঁর নাম?
কেন তাঁরে লাগে ভালো?
কেন খুঁজি তাঁরে এ ভুবন আঁধারে?
কেন কর্ণে মোর বাজে তাঁরই নাম?
কেন অন্তর দ্বারে সে কড়া নাড়ে?
কেন উতলা করে সে মন ?
কেন তাঁরে পাই না খুঁজে ?
যে আমায় ডাকে মৃদু মৃদু স্বরে।  
কেন তৃষার্ত আমি তাঁরই লাগি?
কেন অজান্তে তাঁরই আমি
হস্ত দু-খানি মাগি?  
কেন তাঁরে খুঁজি হই দিশেহারা?
কেন তাতেই আমার সব
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তাঁরা।
কেন তাঁকে হাতড়াই আনমনে?
কেন তাঁরেই দেখি স্বপন?
কেন অবসরে সে অস্বস্তি
জাগায়  দেহ –প্রাণে ?  
কেন হই আমি জীর্ণ
ভোলাতে মোরে তাঁর স্বরে ?
কেন সে থাকে লুকায়ে
ধরণীর অজানা গহ্বরে?
কেন তাঁরি অনুভূতি?
অকারণে জ্বালাতন করে
দৃষ্টি, মন, প্রাণ
যারে খুঁজে ফেরে।
আছে সে কোথায়
আঁধারে লুকায়ে ?  
এ ধরণীর কোন ঘরে,  
কিংবা কোন অন্দরমহলে ?
কে আমায় নিয়ে যাবে তাঁর নগরে
যারে মন অবিরত খুঁজে মরে?