গর্ভধারিনী মাগো তুমি,
সন্তানেরে দশমাস-দশদিন
গর্ভে করো ধারণ।
শিশুর সর্বোৎকৃষ্ট বিদ্যাপীঠ তুমি,
জ্ঞানার্জনের প্রথম অক্ষর
তুমি করো দান।


ছোট্টবেলায় মায়ের হাতে-হাত রেখে,
ছোট্ট-ছোট্ট পায়ে পথ চলা।
মমতাময়ীর মায়া-মমতার টানে,
প্রথমেই শিখি মা বলা।
সাঁঝবেলাই বলাকারা,
নিজ-নিজ বাসায় ফিরে চলে।
তেমনি খেলাশেষে ছুটে আসি,
জননীর শীতল কোলে।


জননী ন্যায় শিশুর ভবিষ্যৎ আঁধার,
জননীই হলো জগতের শ্রেষ্ঠ উপহার।


জননী হল শিশুর ভবিষ্যতের
বুনিয়াদী গঠন।
জন্মদাত্রী মায়ের প্রতি
আমি করিতে চাহি শ্রদ্ধা নিবেদন।


উদ্যানে মালী যথা সেবা-যত্ন করে,
তরুকে করে তোলে অতুল,
বাগিচা ভরে ওঠে ঝুড়ি-ঝুড়ি ফুল-ফলময়।
তেমনি মা লালন-পালন করে,
সন্তানের জীবনকে করে তোলে ছন্দময়।
দিবাকর যথা আপন রশ্মি দিয়া,
বিধুর শোভা বাড়াতে
কভু হয়না ক্ষান্ত।
তুমিও সমস্ত দুঃখ-কষ্টের ভার করিয়া বহন,
সন্তানেরে ভালোবাসা দাও অফুরন্ত।


জীবনে কঠিন থেকে কঠিনতম দশাতে।
সদা তুমি আছো মাগো,
সন্তানেরই পাশেতে।
মাগো তুমি অন্যের জমিতে খাটিয়া মজুর,
পরের বাড়িতে খেটে ফাই-ফরমাস।
সন্তানেরে শিক্ষার আঙিনায় পাঠাতে,
অষ্টপ্রহর কেবল করো,
আরাম-বিরামহীন আয়াস।


তবে মানবজাতি বড়োই নির্মম-নিষ্ঠুর।
মায়ের আননে এক-মুঠো অন্ন
তুলে দিতে অতিশয় কাতর।
বৃদ্ধাশ্রমই হয়ে ওঠে মায়েদের
অন্তিম ঠিকানা।
অথবা,অশ্রুসজল ধারায় বাহিত,
পথভিখারিণী মায়েরা খুঁজে চলেছে নব আস্তানা।