কি এমন তফাৎ বলো,লোকালয়, নগর আর গভীর অরণ্যে!
সবখানেই তো একাকার হয়ে করছে বিরাজ,
বিষবতী সাপ,হিংস্র বাঘ,শাকচুন্নী বা বৃদ্ধ শকুন।
ধবধবে জোসনায় ঠাঁ ঠাঁ করে হাসে শাকচুন্নী,
বৃদ্ধ শকুনী পেছন থেকে এসে কাঁধে রাখে হাত।
জঙলী শুয়োর হেঁটে বেড়ায় নিশ্চিতে জনপদে,
উদ্যানে শুয়ে থাকার অপরাধে গ্রেফতার হয় নিরীহ কবি।
পাহাড়ী ঝরনার ছন্দ আঁকার দায়ে মাঝরাতে খুন হয়
শখের শিল্পী।
মানুষের পিছনে মানুষ লেলিয়ে দেয়, জিহ্বায় লালাঝরা হায়নারুপী মানুষ।
সুযোগ পেলেই  কাদামাখা মানুষেরা তাদের নোংড়া শরীর ধুয়ে ফেলে,
নির্বিকার যায় চলে,নিরীহ ভিন্ন জনের পুকুরের স্নিগ্ধ জলে।
তা দেখে বাগানের ফুলকলিরা সারারাত কেঁদে ভাসায় বুক,
তাইতো অনন্তের পাখীকে বলি,উড়ে যাও তুমি,স্বর্গের সিড়ি এসো ছুঁয়ে,
যদি ডানার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠেন শান্তির দেবতা,
তোমাদের ঠোঁটেই আজ পাঠাবো তাকে আমার সব অপ্রকাশিত বিদ্রোহী কবিতা।
                         লিজি আহমেদ"১৪ই জুলাই,২০১৮