অভিমানে মুখ ফিরিয়ে কেটে গেলো হাজার বছর,
সব ভুল শুধরিয়ে আবার মুখোমুখি বহুদিন পর।
ঘুম নেই কত নিশি জানানো হয়নি শুভরাত্রি,
যেনো দু'জনাই অচেনা,অচিন পথের দুই যাত্রি।
এসেছে উজ্জ্বল দিন,যে দিনের অপেক্ষায় থেকেছি,
তবু জানানো হয়নি সুপ্রভাত,ঝলমল সেই সে প্রভাতে।
কত কি লিখবো বলে কত না অলস দুপুরে ভেবেছি,
ভাত ঘুম দিয়ে আজ ঠিকই কলম তুলবোই হাতে।
সবকিছু থেমে গেছে বদলে গেছে দুজনার গাড়ী,
আলাদা গন্তব্যে যেনো চলে গেছে স্টেশন ছাড়ি।
দুরন্ত স্মৃতিগুলো তবু কেনো মশা,মাছির মত,
কানের পাশেই করে চলেছে ভনভন অবিরত।
বন-বনানী,বসত বাড়ী জুড়ে নেমেছে তুমুল বৃষ্টি,
খরা কেটে গেছে চলো গড়ি আজ কিছু নব সৃষ্টি।
ভরে গেছে কানায়,কানায় পুকুর নদী খাল বিল,
তবু কেনো নিশ্চুপ বসে মাঝখানে কাঠের টেবিল।
চলো যাই শৈশবের মাঠে,যেথা মন পড়ে থাকে,
সারাদিন হবে গান লিখবো কবিতা ফাঁকে ফাঁকে।
বিকেলে সে কবিতা দুজনে উড়াবো আকাশে
মাঠে মাঠে বনে বনে উড়বে সেগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে।
ভেঙ্গে দাও পুরনো সব প্রাচীর দেয়াল,
ভুলে যাও বেহিসেবি মনের হাজার খেয়াল,
আজ আর মানবো না ছোট-বড় কোনো ক্ষয়,
এখন শুরু হবে শুধুই নতুন প্রণয়।
                                    
                        -  লিজি আহমেদ,৫ই মে'১৮