লতার গায়ে শীতল পাতা,
শিশির ভেজায় চুল।
সূর্যি মামা আসছে তেড়ে,
লতা ভয়ে আকুল।


লতা ভারী ভিতু মেয়ে,
সূর্যি মামার ডরে।
সূর্যি বেটা বড্ডই পাজি,
শুধু লতার পিছেই লাগে।


লতার বাড়ি কুঠের বাজার-
উত্তর দিকে থাকে।
চার বোনের তৃতীয় সে,
সবার নজরে রাখে।


সেই গায়ের নয়নের  সাথে,
লতার ছিলো ভাব।
সূর্যি মামা বুঝতে পারে–
লতার সর্বনাশ।


লতার নাকি বিয়ে হবে –
পশ্চিম থুরী গায়,
মস্তবড় ব্যবসায়ির ছেলে
এম এ, বি এ পাশ।


মাধ্যমিকে নাকি ছেলে;
প্রথম ছিলো।
পড়াশোনার দেশে রাজা
বুদ্ধির তুলনা নায় তার-
মাতবর হিসাবে পাকা।


তাতেও লতার মন ভরে না
কেঁদে সাগর করে।
নয়ন তাহার মনের মানুষ–
কিভাবেই বা বধু সাজে।


এদিকে নয়ন মেলান্দহ থানায়,
হয়ে আছে বন্দী।
সূর্যি বেটা টাকার জোরে -
পুলিশের হাতে করে নতুন ফন্দি।


নয়ন এবার জেলে থাকবে,
সারাজীবন বন্দী।
লতার প্রেমে পাগল হয়ে,
হয়েছে মিথ্যে আসামি।


বিয়ের বাড়ি নতুন জামাই,
আনন্দের সাথে হাসি।
নয়নের দেখা না পেয়ে,
লতা গলায় দিল ফাঁসি।



রচনাকাল: ৯ এপ্রিল ২০২০