মুখস্থ করেছি তোকে -
       বিস্মিত হয়েছি  প্রতিবার পাঠে।
ফসলের মাঠে কৃষাণের লেখা কবিতার মতো,
               মুগ্ধ হয়েছি কতেকবার।
কখনোবা রিনিঝিনি বরষার নৃত্যে,
                                    চিত্তে জেগেছিলো প্রেম!
ভেগেছিলো দুরাশার স্বপ্নগুলো, পুরনো অতীত।


                     মুখস্থ করেছি তোকে-
ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে ঠোঁটস্থ করেছি চাওয়া গুলো।
          ফুলের উপরে বসা অলিদের মতো,
                  চুমু এঁকেছি কতেকবার।
কখনোবা  প্রজাপতিদের মতো-
                   ডানা মেলে উড়তে চেয়েও উড়তে পারিনি!
হ্যাঁ হ্যাঁ পড়ে গেছি,প্রেমেতে পড়েছি বারবার।


                  মুখস্থ করেছি তোকে-
       দারস্থ হয়েছি সেই নবযৌবনা বসন্তে।
    ডালে বসে থাকা ওই কোকিলের মতো,
                  গান গেয়েছি কতেকবার।
কখনোবা  কাম জাগা প্রেমিকের মতো-
                                      আঁকড়ে ধরেছি বাহু,
জড়িয়ে নিয়েছি বুকে,মিলিয়েছি শরীরে শরীর।


                     মুখস্থ করেছি তোকে-
     ঘুরে বেড়িয়েছি অবুঝ মনের অলিগলি।
উর্বর জমিতে পুঁতে রাখা বীজটার মতো,
                    অঙ্কুরিত হয়েছি যতনে।
কখনোবা নবজাতকের মতো-
                                  নিষ্পাপ হতে চেয়েছি,
লুকিয়ে রেখে বিরহ ব্যথা-হতে চেয়েছি প্রেমিক।


                    মুখস্থ করেছি তোকে-
    বেশিই কঠিন তোর গাণিতিক সমাধান।
প্রকৃতির বাধাহীন নিয়মের মতো,
                               থেমে গিয়ে চলেছি আবারো।
কখনোবা এলোমেলো জ্যামিতির মতো-
                               আঁকিবুকি করেছি নিরবে,
বৃথাই বেড়েছে ক্ষত,তবুও চেয়েছি তোকে বারবার।


                        মুখস্থ করেছি তোকে-
             ভুলে যেতে পারবো না কখনো।
শরীরে বহমান রক্তের কণিকার মতো,
                        মিশে গেছিস শিরা -উপশিরায়।
সেই তোকে আজ পাষাণের মতো -
                                 কী করে যে ভুলে থাকা যায়?
ভুলে থাকা যায়! ভুলে থাকা যায়?