খোকা গল্প শুনবি গল্প,
বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীন হবার গল্প?
তবে শোন;বলি সেই অভিজ্ঞতা অল্প অল্প।
হঠাৎ করে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্ষ্রীপ্ত হায়ানার দল,
রাতের আঁধার;রক্তস্রোত আর যেন-জ্যান্ত দাবানল!
কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে-বাংলার বাতাসে;
ভেসে আসে,পোড়া লাশ আর গোলা বারুদের গন্ধ,
পুড়ে ছাই ঘরবাড়ি,দিশেহারা নর-নারী,পালাবার পথ অন্ধ।
নিমিষেই সব শেষ-অবশিষ্ট আর্তনাদ,
পিপাসু হায়নারা নিয়েছে;জীবন্ত রক্তের স্বাদ।
সেই থেকে খোকা শুরু-দীর্ঘ নয় মাস,
এভাবেই চলে হত্যাযজ্ঞ পরিহাস।
শুধু তাই,এর শেষ নাই!
ধর্ষিত মা-বোন লুঠিয়ে পিশাচের পায়ে,
কেউ দিলো আত্মহুতি জ্বালিয়ে আগুন গায়ে।
কেউবা দিলো গলায় দড়ি
কেউ পেটে মারলো ছুড়ি;কেউবা হলো পাগলপ্রায়,
এখনো যে গা ছিমছিম করে -কি করে তা মানা যায়!
বাঙ্গালীরা অলস হলেও ছিলাম সেদিন ক্ষুব্ধ,
যা ছিলো নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি-শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
হয় তো বেশি অস্ত্র ছিলো না,
পরার ভালো বস্ত্র ছিলো না,ছিলো না তেমন খাদ্য;
তবু আগ্রাসী ছিলাম বাজিয়ে মুক্তির বাদ্য।
"রক্ত যখন দিয়েছি;আরো দেবো"-কানে বজ্রপাত,
শুধু স্বাধীনতা চাই,মুষ্টিবদ্ধ করি হাত।
একতা ছিলো তখন-শক্তি কর্ম বল,
চালিয়েছিলাম প্রাণে;মরণের যাতাকল।
লাশের উপর লাশ সাজিয়েছিলাম-পরাতে পারিনি মালা,
তুই কেমনে বুঝবি রে খোকা,পরাধীনতার জ্বালা!
অবশেষে স্বাধীন হয়েছি;দিয়ে লাখো প্রাণ,
তাই তো আজ গাইতে পারিস,স্বাধীনতার এ গান।



@পুনরায় সম্পাদিত,23.02.2018