হচ্ছে কী এ সব!
প্রকাশ্য সন্ত্রাস
সেবকের হাত
রক্তাক্ত ফোর্থ এস্টেট।
“সেবা পরম ধর্ম”
গায়ে মেখে বিজ্ঞাপন
করছে বিজনেস,
প্রকাশিত হবে ভেবেই
দানবের বেশ।


নীতি বেচতে লজ্জা হয় না
নির্ধনের রক্ত খেয়েই স্যুট-বুট
পাজারো, এসি করা টয়লেট
বউয়ের গায়ে হীরের গয়না।
অভুক্ত পেট
রাতভর হাতুর ব্লেড
রক্ত পানি করা ঘাম
উৎপাদনে দেয় আক্সিজেন।
এদের দেখেই নাক ধরে
নির্লজ্জের এক শেষ!


খাবার জলে পোকা ভাসে
নাই ভ্রুক্ষেপ,
ওয়াসা কয় লোকাল প্রব্লেম
যেন দোষ জনগণের,
রক্তচোষারা করে পানির রমরমা বিজনেস।
ওরা বা ওদের পা চাটা
প্রত্রিকার কলাম, মাঝ রাতের টক শো
হাসি মুখে বলে যায়
‘অতি সত্বর কিছু করা দরকার’
দিনের পর দিন যায়
হাহাকারে লাশ হয় আমজনতা।


হচ্ছে এ কী সব!
অ আ নেই জ্ঞান
ইতিহাসের ব্যাখ্যা দেন
যেন মস্তিষ্ক বিকৃত!


পরীক্ষার আগে ফল পায়
এ যুগের পোলাপান,
প্রশ্নমালা মোবাইলে
কারচুপি ডিজিটাল।
বাড়িয়ে দিয়ে পাসের হার
হয় কি জাতির বুদ্ধির বিচার?
শিক্ষার ভেতর যাচ্ছে ঢুকে
কু-শিক্ষার প্রভাব।
দেখে শুনে গুণ গায়,
সৃষ্টির আশা চুলোই যাক,
জ্ঞান-পাপী কথক সমাজ_
বাড়ছে তো পাশের হার!
মন্ত্রী ম’শায় বগল দোলায়
বিপ্লবের বরপুত্র
হলফ করে বলতে পারি
আনবে জাতির পঙ্গুত্ব।
এভাবেই নাকি যাচ্ছে এগিয়ে দেশ
বলছে ওরা
ওরাই নাকি জাতির বিবেক!
আর কত দেখব ভাঁড়ামি
ঘুচবে কবে জাতির ক্লেশ?