মাঝে মধ্যেই বুকের গভীরে একটা অজানা ব্যাথা অনুভূত হয়,
চিনচিনে ব্যাথাটা খুব বেশী সময় স্থায়ী নয়।
পৃথিবীর এই ব্যাস্ততম জনবহুল পথেে
একটা নিস্তব্ধ একাকিত্ব আমাকে থামিয়ে বলে
এই সুদৃশ্য পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে।
প্রকৃতি প্রদত্ত, পরম সত্য মৃত্যু নামক শব্দটির সাথে
লেনদেন করতে হবে জীবনের বিনিময়ে।
এই সবুজ ঘাস, আকাশের নক্ষত্র আর রুপালী চাঁদ
আমার আর দেখা হবেনা।
আমার সকল ব্যস্ততা, অপ্রকাশিত কবিতা আর টেবিলের অগোছালো বই,
এ সবই একদিন অর্থহীন হবে।
আমার বন্ধু কামাল ভাই একবার জিজ্ঞেস করেছিল
জীবনের মানে কি?
উত্তরে বলেছিলাম আপনাদের সাথে চায়ের আড্ডা দেওয়াটাই কম কি!
হয়তো সঠিক উত্তর দিতে না পারার ব্যর্থতা ঘোচাতে কথাটা বলেছিলাম।
তবে জীবনের মানে কি হতে পারে?
আমার কাছে বেচেঁ থাকাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় অর্থ।