আমার একটা পায়রা ছিল,
যাকে বলি আমরা শান্তির পাখি।
ভোরের আকাশ যখন রঙিন হত
গৃহস্থ-উঠান যখন আলোকিত হত,
চোখ মেলে বিভোর হয়ে তাকাত সে।
বিলীয়মান ঋতুর মতো সে নীরব।
নাকি তুফানের ঝাপটায় কখনো উত্তাল হয়!
শকুনেরা মাটিতে বাচ্চা খুঁজে
তখনও কি সে ''শান্তি শান্তি'' বলে
চোখ বুজে।
অন্নদাতার হস্তে চাপিয়ে দেয় সকল ভার
সুযোগমত তিনি করবেন প্রহার।
আত্মশ্লাঘায় মেতেছিল কি সে?
কই আমি তো দেখিনি কোনোদিন
রক্তমাখা পাখা ঝাপটিয়ে ফিরছে সে।
শুধু শান্তির ধ্বনি শুনিয়ে
বৃদ্ধ হয়ে গেল।
একসময় বিরক্ত হয়ে উঠি,
কান বন্ধ হয় সবার।
বিধাতার ডাকে কারো সাড়া নেই
হা-ভাতে উচ্ছাস একদিন ফুরাবেই।
তখন মগ্ন হয়ে থাকব
উপহাসে ঘেরা নতুন পৃথিবীতে।