এই ধরনের লেখা সবচেয়ে সহজ,
এই ছন্দে মূল হচ্ছে (ই) ধ্বনি , আর তা দুইটি চরণ বা লাইনের মাঝে নির্দিষ্ট, যেমন


বিরহিত হিয়ার বিকল্প প্রকল্পে প্রশ্রয় পেল যা গুণ
এখন তো আরও, আরও বিরহ বিষন্নতার আগুন।


এই দুইটি চরণ বা লাইন ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন প্রথম লাইনের প্রথম শব্দ হচ্ছে, "বিরহিত" এই "বিরহিত" শব্দের প্রথম বর্ণ "বি" তাহলে "বি" উচ্চারণ করলে "ই" ধ্বনি আসে, যেমন বিইইই"


তারপর প্রথম লাইনের দ্বিতীয় শব্দ হচ্ছে "হিয়ার" তাহলে এই "হিয়ার" প্রথম বর্ণ উচ্চারণে আবারও "ই" ধ্বনি আসে


এরপর তৃতীয় শব্দ হচ্ছে "বিকল্প" এই "বিকল্প" শব্দের প্রথম বর্ণ আবারও "বি" আবারও উচ্চারণে আসে "ই"


প্রথম লাইনের মধ্যে এই তিনটি শব্দের প্রথম বর্ণ উচ্চারণে "ই" আর অন্য কোন শব্দের প্রথম বর্ণ উচ্চারণ করলে "ই" আসেনা। তাহলে প্রথম লাইনের তিনটি শব্দ পেয়েছি যা প্রথম বর্ণে আসে "ই"


এবার দ্বিতীয় লাইন


দ্বিতীয় লাইনের "বিরহ ও বিষন্নতার" এই দুইটি শব্দ ব্যতীত অন্য কোনো শব্দের প্রথম বর্ণ উচ্চারণে "ই" আসেনা, শুধুমাত্র এই "বিরহ ও বিষন্নতার" দুইটি শব্দেই আসে।


ঠিক এইভাবে প্রথম লাইনে তিনটি "ই" ধ্বনি থাকবে, কম কিম্বা বেশি থাকবেনা,
আবার দ্বিতীয় লাইনে দুইটি "ই" ধ্বনি থাকবে শব্দের প্রথম বর্ণে।
এইভাবে ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে।


এবার পুরো একটি কবিতা দিলাম, মেলালে দেখবেন প্রথম লাইনে তিনটি "ই" ধ্বনি আবার দ্বিতীয় লাইনে দুইটি "ই" ধ্বনি।


ধ্বনি লোপ ছন্দ


নিশীথের মৃত্যু চাই
আব্দুল মালেক


বিরহিত হিয়ার বিকল্প প্রকল্পে প্রশ্রয় পেল যা গুণ
এখন তো আরও, আরও বিরহ বিষন্নতার আগুন
নিশীথের নিমজ্জিত ক্ষণ ঘুমঘুম ভুতুম বিলাপে
ছাল ছাড়ানো গায় নুন ছিটানো তার মিষ্টি আলাপে
বিকট চিৎকারে চিৎ, চমকিত আঁধার ছাড়ি
খুব আছি বেশ, আহা নিরালায় নিশীথের বাড়ি।
বিষময় দিন, দেখে বিস্ময় হয়ে ব্যাধিত কণ্ঠে
কখনো বলে উঠি "নিশী যাওয়া দিয়ে ঘণ্টে।
আলো, নিভে দিয়ে যেওনা, ডুব-না'কো দিবাকর
এক নিশীথেই হয় একশোবার মৃত্যুর যন্ত্রণাকর।
হিয়ায় ভেবেছে সহজলভ্য নিশি সান্ত্বনা নিয়ে
দিন হয়েছে স্বর্গ এখন, নরক হয়েছে নিশি-এ।