বুকভরা কান্নারত এই ছলছল আঁখি,
ক্ষণে ক্ষণে ক্ষত'রত এই কলিজার জ্বালা,
অজান্তেই চিৎকারে চিৎ হয়ে যেই থাকি,
মাঝেমাঝে ভাবি হে দয়াল সব মেরে তালা,
কুদরতে করে দাও এই দুঃখগুলো স্বপ্ন,
কঠিন সুপ্তির গুপ্তে রেখো রক্তিম নয়ন।
এই কুদরতি নেই প্রভু, প্রলয়ঙ্কর কী ক্ষুন্ন?
কত্তো ইতিহাসে করেছিলে অকল্পিত ক্ষণ।
তবে কী বিকৃত ছিল, ছিল সব ছল?
না না, পূর্ণ ঈমানী শক্তিতে বিশ্বাসীত ভক্তি
সব ছিল সত্য ওই তত্ত্ব, তবে অশ্রুজল
তুমি স্বপনচারিনী করে দেখাও যে যোক্তী।
মাছের ভক্ষতে রক্ষা দিলে ইউসুফ নবী
অরণ্যের হরিণীর কণ্ঠ, কণ্ঠ পেল ফণী
অবাস্তবতাকে বাস্তবিকে করে ছিলে সবি
দেখিয়েছ ছবি সেই তুমি, সাক্ষী কত যোনি।
সাহারায় কার পাহারায় ফুলের কানন?
মারিয়ানায় প্রাণ অস্তিত্ব কেমনে দিয়েছ?
আগ্নেয়গিরি খ্যাতে প্রাণের আভাস কেমন?
মৃত্যু না দিয়েই ঈসা নবী গগনে নিয়েছ।
তুমি মহান প্রতিপালক তুমি কুদরতি
আঁধারের জ্যোতি, হে দয়াল আমাদের স্রষ্টা
সব পারো তুমি, আরো আরো, কত যে মিনতি
আমার এই তামার যেই নশ্বরের ভ্রষ্টা।
যা হয়েছে সব তুমি করো সুপ্তির স্বপন
বপন করি ফের ফসল সামান্যই সুখ
বুকভরা হাহাকার দ্বার করে যে আপন
আবার একটু চাই সুখ, মুছে সব দুখ।