জন্মমাটি
প্রশান্ত মিত্র (শান্তা)


মনু নদীর তীর,তরু-লতা-পাতায় ঘেরা ছোট্ট নীড়,শান্তিময় আবাসস্থল
কলকল ধ্বনি,বাজে সদা কানে,স্রোতের টানে অবিরাম গড়ায় জল।  


শৈশব হতে শুনে আসা ধ্বনি,ডাকে মিশিতে তাহার সাথে      
ব্যাকুল হয় মন আজও,দেখিতে,সাঁতার কাটিতে,ধরিতে হাতে।


হাওর করাইয়ার বুক হতে প্রবাহিত হয় শীতল সুবাসিত হাওয়া
ভেসে আসে কানে,মাঝি মাল্লা,কৃষক ভাইদের যত গান গাওয়া।


কত কাদা মেখেছি গায়ে,জমিনের সাথে নিজেকে করেছি একাকার  
আজ-ও মন চায় সাথী দের নিয়ে,কাদা জলে উৎফুল্লে গড়াতে বার-বার।


হাওয়ায় ভেসে আসে তারাপাশা বাজার হতে কেনা-বেচার কোলাহল  
সন্ধ্যা গড়ালে পশ্চিম দিক লক্ষ বাতির আলোতে করে ঝলমল।      


কৈশোরে বাজারের বুকে খেলা করে কাটাতাম সকাল-সন্ধ্যা বেলা  
শুনিতে পাই কোলাহলে আজ-ও,বন্ধুদের ডাক;মিশিতে আনন্দ মেলা।  


প্রভাতে তৃণ-তরু-লতায়,শিশির বিন্দুতে দেখিতে পাই,অনন্ত সূর্যের হাসি
জন্মমাটি আব্দা গ্রামকে,মা'কে যেমন তেমন করে,মনে প্রাণে ভালোবাসি।


মাটি,আলো,আকাশ-বাতাস,তরু-লতা সবই পাই;যখন যেখানে যাই  
মমতা মাখা আমার গাঁয়ের সুখ-শান্তি;অন্য কোথাও খোঁজে নাহি পাই।


যতদিন আছে প্রাণ থাকিতে চাই শান্তির নীড় আব্দা গাঁয়ের কোলে
মৃত্যুর পর মিশিতে চাই;গ্রামের মাটি,আলো,আকাশ,বাতাশ আর জলে!


১৮/০৮/২০২১ খ্রিস্টাব্দ
০৩/০৫/১৪২৮ বঙ্গাব্দ
বুধবার।