হে বসন্তদূত!এতএত ডাকছ কেন!?ক্লান্তি লাগে না!?এতো ডাকা সত্ত্বেও কেন আসে না!?


শীতে ছিলো ক্ষীণ কণ্ঠস্বর,ভাবতাম;হয়তো ডাক পৌঁছাচ্ছে না,এখনতো উচ্চ রবে ডাকছ,পৌছে যাচ্ছে ধরিত্রীর আনাচে কানাচে,তবে কেন শুনতে পায়না!?


ডেকেই যাচ্ছ!ভালো লাগছে না আর!করুণ সুর ফুটে উঠছে কুহু তানে!কান্নার কি মূল্য আছে!?যে যার জন্য কাঁদে;সে ইতো উচ্চ রবে হাসে!হাসির রবে হারিয়ে যায় কান্না!


বন্ধ কোরো!দয়া করে বন্ধ কোরো!আবেগ মুক্ত কোরো নিজেকে,শক্ত করে ধরো সময়ের হাল।


যখনই কর্ণে ভেসে উঠে বিরহের সুর,কষ্ট পাই!উপযাচক হয়ে বারণ করি তাই।


ডাক পৌছাবে না!কাঁদায়ে যে হাসে,কান্না কভু কর্ণে নাহি ভাসে!শুধুই হাসে!কারণে অকারণে;শুধুই হাসে!বৈভব কে চিত্ত সুখে ভালো বাসে।


যদি কান্নায় সুখ পাও;নীরবে কেঁদে যাও!সবাই ভাববে চোখের ব্যায়রাম,শুধুই জল!ক'জন দেখতে পায়,অশ্রুতে হৃদয়ের অনল!?


কেঁদে যাও নিরবে!যে ঘুমাচ্ছে জেগে জেগে,নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দাও!ঘুমের ভান ভাঙ্গবে যেদিন;নিশ্চিত কাঁদবে সেদিন!কেঁদে নিও উচ্চ রবে!