মানুষ পরাধীন থাকতে চায়না,অন্যায়-অত্যাচার মেনে নিতে চায়না,চায় স্বাধীনতা;মৌলিক অধিকার;মাথা উঁচু করে চলার অধিকার।


একটি পাখিও;মুক্ত আকাশে ওড়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে,পিঞ্জর ভাঙ্গতে না পারলেও মুক্তির তরে নিজেকে রক্তাক্ত করে!যাকে নাগালে পায় আঘাত করে চঞ্চু দিয়ে।


তবে;স্বাধীনতার তরে মানুষের সংগ্রাম সম্পুর্ণ ভিন্ন,মানুষর পশুপাখির মতো একান্ত নিজের মুক্তি নিয়ে ভাবে না,অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমষ্টিগতভাবে আন্দোল গড়ে তুলে,সম্মিলিত শক্তিতে ভেঙ্গে দেয় সৈরাচারের পাহাড় সম লৌহ কপাট!নিজের প্রাণের বিনিময়ে দেশ ও জাতিকে করে শৃঙ্খল মুক্ত।


মানুষ মুক্তির তরে মরতে জানে,মুক্তির তরে মারতে জানে,হাসিমুখে উচ্চ শিরে ফাঁসির কাষ্ঠে চড়তে জানে।


দেশের তরে;ফাঁসির কাষ্ঠে হেসেছিলেন ক্ষুদিরাম!বন্দুকের নলের সামনে হেসেছিলেন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান!


স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিল নিপিড়ীত সর্বস্তরের বাঙ্গালী,অকুতোভয়;জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে,রক্ত এবং প্রাণের বিনিময়ে;ফুটিয়েছিল সবাই বাংলাদেশ নামক ফুলের কলি।


প্রস্ফুটিত ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর কোনায়-কোনায়,জাতীয় সঙ্গীত শোনা যায় জলে-স্থলে-অন্তরিক্ষে,সাগরের লহরে,পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-সুরমায়।


যে অমানুষ গুলো দিয়েছিল হানা,শস্য-শ্যামল স্বর্ণময় বাগানে,স্বাধীনতাকামীরা করেছিল পাকড়াও,কান ধরে পাঠিয়ে দিয়েছিল,মানবতা হীন;আবর্জনাময় ঘৃণিত স্থানে!


আমরা স্বাধীন!ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা!লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে গাই জাতীয় সঙ্গীত,প্রাণ খোলে গাই;স্বাধীন বাংলার গান।


শহীদরাও গেয়েছিল আমৃত্যু,বাংলা মা'য়ের গান!ওঁদের কাছে চির ঋণী;দেশের তরে দিয়েছিল প্রাণ!ওঁরা বাংলা মা'য়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান!স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্প দিয়ে,শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে করি সম্মান।