আত্মার বন্ধনে হয়
শতভাগ নিখাঁদ মিতালি,
মিতালির মধ্যদিয়ে
প্রস্ফুটিত হয় চিত্ত কলি।
হৃদ কাননে তখন,
করেই না বিচরণ কাক,
হাওয়ার গতরে ভাসে,
শুধুমাত্র বন্ধু-বন্ধু ডাক।
বন্ধুকে দুর্দিনে কভু
বহুদূরে রাখেনা ঠেলিয়া,
দেয় রেখে সর্বক্ষণ
অন্তরের দরজা খুলিয়া।
ভুল হলে ধরে ভুল,
মঙ্গলার্থে করে প্রতিবাদ,
আনন্দ দেয়ার তরে
বলে না কখনো জিন্দাবাদ।
যতেক মনের কথা
নিঃসন্দেহে দেয় কর্ণে তুলে,
মহা দুর্যোগ কালেও
যায়না বন্ধুকে কভু ভুলে।
লেপন করে না কভু
চরিত্রের উপর কালিমা,
যতই করুক ভুল
মনথেকে করে দেয় ক্ষমা।
যদি কখনও কেহ
বন্ধুকে অহেতু দেয় গালি,
তৎক্ষনাৎ লাল রঙে
রঞ্জিত হয় যে রক্তনালি।
ধরিয়া বন্ধুর হাতে
পায় মনে অপার আনন্দ,
দেখিয়া বন্ধুর মুখ
বিতাড়িত করে নিরানন্দ।
বন্ধুকে ভাবেনা কভু
দুঃসময়ে নয়নের বালি,
বিপদ সম্মুখে দেখে,
দেয়না অন্তর হাতে তালি।
একই গতিতে হাসে,
পাশাপাশি বসে সম সুখে,
কুড়ায়না ঘৃণ্য সুখ,
করিয়া আঘাত বন্ধু বুকে।
বন্ধু মনে কষ্ট দিয়ে,
দেয় যদি গুণ জলাঞ্জলি,
বন্ধু নয় কভু ওঁরা,
জীবাণুতে ভরপুর ধূলি।