ধরার বুকে নিন্দিতরা করছে হরেক ঘৃণিত খেলা,
স্বীয় স্বার্থে করে তৈয়ার দেহ দিয়ে অসংখ্য ভেলা।
অহরহ নীতিবানদের যাচ্ছে নিয়ে কবরের ভেতর,
সুখ কুড়াচ্ছে ভূমি পৃষ্ঠে পচাগলা যতসব অন্তর!
পদাঘাতে কম্পমান এই মাতৃ সম বসুন্ধরার বুক,
ফুলেফেঁপে হচ্ছে মোটা মানবরূপী অগুনিত জোঁক।
কর্মে উত্তম মানুষেরা লজ্জা-ক্ষুভে হচ্ছে শুধু লাল,
অমানুষরা পরিহিত হিংস্র জন্তুর অতি পুরু ছাল।
মনুষ্যত্ব নিয়ে মানুষ থাকে সদা স্বইচ্ছায় দূরে,
স্বার্থ ছাড়া নরাধমরা হাতে নাহি কারোরই ধরে।
দেহ-ভূমি-অন্তরটা খায় এক্কেবারে শকুনের মতন,
তবুও তারা চতুর্দিকে মস্তকের তাজ অমূল্য রতন।
আঁধার কালে ধরার বুকে অমানুষরা সদাই সুপাত্র,
ঢুকে তারা গহীন গর্তে হলে গত অন্ধকার রাত্র।