অকালে ভরা জল তোমার চোখে,
দৃশ্য দেখে কষ্ট পাই!কাতর হই শোকে!
অন্যের যন্ত্রণা কিছুটা হলেও বুঝি,
বর্তমানের সবটুকু জল,বিষাদ হতে সৃষ্ট!
এই জল আনন্দাশ্রু হতেই পারেনা!
খাঁচায় বন্দী পাখির কান্না মুক্তির তরে,
জল নিয়ে প্রশ্ন করাটা বোকামি!
বুদ্ধিমান নই!তবে এতটা বোকাও নই আমি!


বসন্ত কালে গতিময় স্বচ্ছ জলে উল্লাসে করেছি খেলা,
উজান অভিমুখে সাঁতার কাটার উপায় ছিলো না!
ভাসিয়ে দিতে ভাটির পানে,
স্রোতের আনন্দ বানে!
কতো আনন্দে মোড়ানো ছিলো হারানো বেলা!
নিত্যদিন করেছি খেলা;বুকে জাগা চরে,
করেছি গড়াগড়ি;বন্ধুদের হাত ধরে।


সবই অতীত!
উজান পানে আঁখি ভরা জল!
গতিহীন;ঢেউহীন;অতি কষ্টের অনল।
ভাটির দিকটা মরুভূমি,মাংস খেকোদের পদচারণা,
ট্রাক-ট্রেক্টারের ভিড়,ভানু তেজে তপ্ত বুকখানা!


তোমার দুঃখে আমিও দুঃখী!
কিছুটা বিবেকবোধ নিয়ে,বড়ই কষ্টে আছি!
লজ্জিত!মানুষ হিসেবে লজ্জিত!
শুধুই নিতে জানি;দিতে জানি না,
কাঁদাতে জানি;হাসাতে জানি না,
আত্ম সুখের জন্য হরণ করি অন্যের সুখ,
প্রয়োজনে হত্যা করি,ছুরি বিদ্ধ করি বুক!


অক্ষম আমি!
বাঁধন খুলে দেয়ার ক্ষমতা নেই,
আছে জলের মধ্যে জল মেশানোর ক্ষমতা,
বারবার নীরবে মিশিয়ে দিই!


শৈশবে দেখা রূপ হয়তো হবে না আর দেখা,
জীবনটা ক্ষনস্থায়ী,হঠাৎ একদিন চলে যাবো একা!
কিন্তু;তুমিতো কালের স্বাক্ষী,
ছিলে;আছো;থাকবে,কখনো উড়বে না প্রাণ পাখি।
চিরতরে বেধে রাখা অসম্ভব!
কালের স্রোতে খড় খুটোর মতো সর্ব বাঁধ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে!
ফিরে পাবে আবারও স্বাভাবিক চলার গতি,
চন্দ্র-সূর্যের আলোয়;গড়ানো জল হবে চকচকে মোতি।


আসবো সেদিন কুড়াতে আমি হারানো দিনের সুখ,
সাতার কাটতে,গড়াগড়ি দিতে,দেখতে মায়াবী মুখ।
সেদিন আনন্দাশ্রু মিশিয়ে দেব আনন্দ মাখা চঞ্চল স্রোত ধারায়,
পৌছে দেবে তুমি সাগরের বুকে,নৃত্য কৃত সঙ্গীতের জলসায়।


ব্যথিত চিত্তে!আজও;ক'ফোটা অশ্রু মিশিয়ে দিলাম;তোমার কষ্টের জলে!
আবারও হাসবো!বন্ধন মুক্ত জলে আর বালু-কাদায় গড়াগড়ি খেলে।