একদিন হাঁটতে বেরুলাম
   সমাজ প্রকৃতির উন্নতি দেখবো বলে জেগেছে শখ
বিশাল রাস্তার দুইপাশে সাজানো ফুলের গাছের সারি।
কিছুদূর পরপর মাইলফলক।
রাস্তার সৌন্দর্য বর্ধনে
   খুবই মনোযোগ দেওয়া হয়েছে
   বাহ্ বাহ্
   আমরা ভারী উন্নতি করেছি।


হঠাৎ উষ্ঠা খেয়ে আছড়ে পড়লো এক সিপাহীর গাড়ি।
সৌন্দর্য দেখতে গিয়ে নজরে পড়েনি
   গিরিখাত, জলকূপ, সিমসিম ছিদ্র।


চৌরাস্তায় মোড়ে
   সযত্নে হা করে দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতিম্তম্ভ।
তাকে পানি খাওয়ানোর জন্য
   ঝরণাধারা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খুবই ভালো লাগলো যেখানে পাথরের মূর্তি
   না চাইতে পানি পায়,
   সে দেশের মানুষের পানির অভাব হওয়ার কথা না।
সুতরাং আমাদের দারুণ উন্নতি হয়েছে বলা যায়।


বিদ্যালয়ের প্রশস্ত দেয়াল। সুবিশাল মাঠ। স্মৃতিস্তম্ভ, কর্নারে শহীদ মিনার।
কারিগর তৈরি কারখানা বেশ।
   খবরে জানিলাম কারিগর মাত্র ক জন।
   ছাত্রছাত্রী কারিগরের থেকেও কম।
শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে না আসলে তবে কোথায়?
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বলল,
জনগণ শিক্ষায় টাকা লাগাতে ভয় পায় বলে
   তারা সেই টাকা ব্যবসায় লাগাতে ইচ্ছুক।
বাহ্ বাহ্। চমৎকার। ভবিষ্যত ভাবনা সুন্দর।


ফিরতেই কোলাহলে শুনলাম সভ্যতার গান।
গালাগালে গুষ্টি উদ্ধারের গল্প।
এমন নান্দনিক শব্দ সচরাচর শোনা যায় না।
সভ্যতা এগিয়ে চলেছে উন্নতির শিখরে।


শব্দ। টুকটুক শব্দ হাসে।  
রাস্তার ধারে ইট ভাংগে
কারখানার চুলা সামলায়,
গ্যারেজে মোটরগাড়ি যন্ত্র পরিষ্কার করে
   স্কুলবয়সী শিশু।


৪ জুলাই, ২০১৯


(কাব্যগ্রন্থ- বিষফোঁড়া)