কাননবালা,
   তারা বলে তুমি বারান্দায় রোজ ই আসো
   আকাশ দেখো, ফুলের টবে পানি দাও
   খবর পেতেই আমি যেইনা ছুটে আসি
               তুমি নিরালা পলকে হারাও।
কোন অবসাদে তুমি থাকো আমার চক্ষু আড়াল
তোমার দেখায় জানবো তোমা হতে-
আজো তোমার হয় নাতো সম্মুখ দর্শন
তুমি রোহিণী থাকো আমার চক্ষু আড়াল চিরন্তন
বাসা তোমার ছয় রাস্তার মোড় দ্বাদশী ভবন।


আমি মাঠ হতে তোমার জানালা পানে চাই
তুমি ঘর হতে দেখো কি না জানা নাই, জানা নাই
বল ঘুরিয়ে তোমার বারান্দায় পাঠাই
   যদি রেগে অভিমানে ঘর হতে ছুটে আসো-
এসে যদি বলো
   এই ছেলে আমার ঘরের জানালা কেনো ভেঙেছো?
           থাপ্পড় চিনো?
   বারান্দার দিকে যায়, যায় না বল
   গেলেও ভাঙেনা কাচ,
   ঘর হতে আসো না তুমি।
তুমি থাকো নিকষ কালো কোনো পর্দার আড়ালে-
           যেনো সপ্তরাজার গুপ্তধন
বাসা তোমার ছয় রাস্তার মোড় দ্বাদশী ভবন।


একদিন মোড়ে করলাম চড়ুইভাতি
   মাখলাম রঙ,
   সাজলাম সঙ,
   ঢঙ দেখতে যদি তুমি একটিবার বের হও
সাউন্ড বক্সের বিকট আওয়াজে পাড়া করলাম তোলপাড়
   কিন্তু শব্দ তোমার বাসার দ্বার ছুলো না,
   তুমি এলে না, তুমি এলে না
   দূর্গাচোখী চোখ রাঙিয়ে বললে না
                  থামাও তোমাদের শব্দ দূষণ।
বাসা তোমার ছয় রাস্তার মোড় দ্বাদশী ভবন।


২ জানুয়ারি, ২০২০


(কাব্যগ্রন্থ-সম্ভাষণ)