সূর্য হেলে পড়েছে, অস্তিমতার দিকে ধরেছে পথ
ঘড়িটা টিক টিক করে বেজে ওঠে,
স্রোতের শব্দধ্বনি তীব্রতা টানে
               গন্তব্যে এগিয়ে যায় সময় লক্ষ্য করে।


আমি কবি, আমার নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য নেই
ভাবনায় এখন আমি একলা নদীর পাড়ে
ক্ষণিক বাদেই রবো শশ্মান কি গোরস্থানের ধারে।
আমি সময়ে আছি
অসময়ে আছি
আছি দুঃসময়ে
আছি সত্যতে, আছি বাস্তবতায়
আছি স্বাধীনতায়, স্বাধীন সত্তায়
আমি যুগের, আমি শতাব্দীর
আমি কবি চর্যাপদের, আমি সৃষ্টির
আমি নিপীড়িতের সাক্ষী, আমি ইতিহাসের ধারক।
নীরবতা সাক্ষী, সাক্ষী গোধূলি, সাক্ষী নদীর স্রোত
আমি কবি মিথ্যে বলি নি
    কবিরা মিথ্যে বলে না।
তারা উপমায় তুলনায়, গভীরতা, বিশালতা, প্রশস্ততা খোঁজে।
আমি কবি স্বাধীন সত্তায় বাস করি,
    এই সত্তা আমাকে যুগ থেকে যুগে নিয়ে যায়,
নিয়ে যায় দূর অতীত ভবিষ্যতে
নিয়ে যায় রণক্ষেত্রে, তলোয়ারের ঝংকারে।
বিশ্বাস করো আমি হিরোশিমা, নাগাসাকিতেও ছিলাম।
আমি কবি সত্য স্বাধীনতা ভালোবাসি
    তাই আমার গন্তব্য সার্বজনীন, সার্বজাতিক, বহুভাষিক।


আমি কবি যেমন ইতিহাসের, তেমনি উপহাসের
আমি বাঁকা মুখের দেতো হাসির কখনো নটোবর।
আমি কবি সার্বস্তরিক।
আমি কবি এই একলা নদীর তীরের গোধূলির,
কবি আমি অস্ত প্রহরের।
আমি কবি স্বাধীনতায়, স্বাধীনতায় বিচরণ
আমি কবি সময়ের যাযাবর
আমি কবি বেলা হতে অবেলায় ঘুরি
মহাকাল হতে মহাকাল
আমি কবি
যাত্রা এখন আমার দূর নীহারিকায়…।


৪ জানুয়ারি, ২০২০
পুনর্ভবা নদীর তীর, দিনাজপুর


(কাব্যগ্রন্থঃ কাব্যলহরী)


(কাব্যগ্রন্থ পরিচিতি)
আমার এ গ্রন্থটি বিবিধ কবিতার সংগ্রহশালা।
কাছের, দূরের, আপনার, পরের কথা, বস্তু ও কল্পনাকে ঘিরে লেখা কবিতা ঠাঁই পেয়েছে আমার এ গ্রন্থে)