মেয়েটি যখন স্বপ্ন দেখে
    তার প্রথম আলিঙ্গনের
    গভীর প্রেমে ওষ্ঠে তার প্রথম দীর্ঘ চুম্বন,
    বুকে জড়িয়ে নিতম্বে শীতল পরশ
    যুগলস্তনে যত্নে পরম উষ্ণ ছোঁয়া।
সেখানে
সেখানে আকস্মিক তোমরা কবর দাও তার সব স্বপ্নের
    ছিন্ন ভিন্ন করে দাও তার প্রথম সব বুনা স্বপ্নজালকে।
তোমরা কি হিংস্র হায়েনার মতোই
    ঝাঁপিয়ে পড়ো তার উপর
    জবরদস্তি পায়ের ফাঁকে স্পর্শ,
    বক্ষে ক্ষিপ্ততার থাবা,
চুম্বন নয়, ব্যথাতুর কামড়ে কামড়ে
    লালচে হয়ে ওঠে সাদা কালো তার শরীর।
    গালে কামড়ের দাগ
    গলায় কামড়ের দাগ
    স্তনে কামড়ের দাগ
এরপরও শান্ত নও তোমরা
কখন ছুরি ব্লেডের আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত
    করো বুকের সৌন্দর্য।


কি নরাধম পুরুষ তোমরা!
তোমাদের নেতিয়ে পড়া শিশ্ন যখন নত
    তখন
          তখন খুঁজো রড, সাড়াশি
পুরুষ, এ কেমন কামাতুর বিকৃত যৌনানন্দ তোমার?


তোমার তোমাদের দুই হাত পায়ের মতো
    তারও দুই হাত পা চোখ কান
    পার্থক্য শুধু যৌনাঙ্গে আর
    আর স্তনের আকারে।
তাতেই এতো দানবীয় উল্লাস?
আবার কখনো তো শুধু নগ্নউল্লাসে মেতে থাকো না,
    করো শ্বাসরুদ্ধ
    দেহ করো টুকরো টুকরো খন্ড খন্ড
কি আজব ব্যাপার তাই না!
তুমি-তোমরাও প্রায় একই দেহের অধিকারী,
    একটু বিচলিত হও না?
    একটু ভাবায় না?


ওহ হো!
    ভাবাবে আর কিসে?
    ভাবালে তো নারীদেহে অবাধ্য স্পর্শই করতে না।
সেথায় কি না তোমাদের দ্বারা কোনো পিতার
    আদুরে মেয়েটির সম্মান লুণ্ঠিত
    টুকরো দেহখানি পলিথিনবন্দী
    জায়গা হয় কমোডেরতল কিংবা ডাস্টবিন অথবা
    কোনো পচাডোবা পুকুরে।
মায়ের চোখের মণি, ভাইয়ের কলিজার ধন
হাতজোড়েও পায়না রেহাই।


কখনো একবার
কখনো বারবার তোমাদের তৈরি নরকে
   রক্তাক্ত পড়ে থেকে বিন্দু বিন্দু করে মরে।


২ ডিসেম্বর, ২০১৯


(কাব্যগ্রন্থ- সুন্দরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ)