সু্ব্রত, এখনো কি মন্দিরের সামনে আসো?
    আড়ালে আড়ালে থাকতে থাকতে
    আচমকা চোখের সামনে এসে দাঁড়াও?
    এমনটি কি এখনো করো কোনো সৌদামিনীর সাথে?


অপেক্ষা, অধীর অপেক্ষা তোমার
এখনো অপেক্ষায় কি থাকে তোমার অপেক্ষা?
জানো?
ভালো লাগতো তোমার অকপট দৃষ্টি আর অপেক্ষা।
বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে তোমার ভালোবাসা ঘাম হয়ে ঝরে পড়তো।


জানো?
আমার প্রতিচ্ছায়া থেকে
    আমার চারদিকে তোমায় দেখতাম বেশি।
বান্ধুবীরা বলতো তোমার সেটা পাগলামি
পিসিমারা বলতো, তোমার জন্মে দোষ আছে
আর আমি মনে মনে বলতাম আর একটু অপেক্ষা করো
আর একটু।
    এই অপেক্ষা এতো দীর্ঘ হবে বুঝতে পারি নি।
    বিধাতার লিখন সেতো আর খন্ডানো যায় না,
    তুমি মাদ্রাজে গেলে চিকিৎসায়
    আর আমি গেলাম বিয়ের পিঁড়িতে।
বিয়ে পিঁড়ি থেকে অনাগত পুরুষের চোখে
    না দেখলাম অপেক্ষা
    না দেখলাম প্রেম
    না দেখলাম ঘাম
    কিংবা সময়ের মাধুর্য।


আজ কতটি বছর তোমার হাসি স্মরণে বেঁচে থাকা খুঁজে যাই
তোমার চোখ নামিয়ে অন্যমনস্ক হাসি স্মরণে
    মাঝে মাঝে হেসে উঠি আমি
তখনি মনে হয় সুব্রত, আজ সুখের ডানা হয়েছে।


২২ আগস্ট,২০১৮


(কাব্যগ্রন্থ- সম্ভাষণ)