মূল প্রস্তাবনা (২৩-৪২তম লাইন)


সেই সন্ধ্যায় সরাইখানায় এক ভীষণ কোলাহল  ২৩
এসেছে নয় এবং কুড়ির (২৯জনের) এক সংঘবদ্ধ দল
একেকজনে একেক পেশার, একেক দয়াদাত্রী
ঘটনাচক্রে তারাও ছিলো, সবাই তীর্থযাত্রী
তাদের সকলেরও যাত্রা ছিল ক্যান্টাবেরির দিক।
সরাইখানার শোবার ঘর-আস্তাবল, প্রশস্ত ছিল ঠিক।
আমাদের জায়গা ছিলো সেরা সবার চেয়ে
সূর্য তখন ঘুমবিশ্রামে, ভীষণ ক্লান্তি পেয়ে।       ৩০
রাতসুযোগে, সবার সাথে, গল্প হলো ভালো
তারা তখন, সবাই আমার, যাত্রা পথের আলো।
কথা হলো যাত্রা হবে, ভীষণ ভীষণ প্রাতে
যেথায় যাবে, আমিও যাবো, তীর্থদলের সাথে।
আমার কাছে সময় সুযোগ দুটোই বেশি আছে
তাদের পরিচয়টা জানান দেই, গল্প বলার পাছে
শুনলামটা কি, জানলামটা কি, জানিয়ে দিতে সব
যুক্তিযুক্ত বেশি হবে, এটা আমার অনুভব।
অল্প কিছুই জানা হলো, রাতের গল্পস্বল্প মাঝে
তারা কে? করে টা কি? ন্যস্ত কি কাজে?          ৪০
জানান দিবো বেশভূষা, পোশাক পরিধেয়
যেমন এক নাইটের কথা বলবো শুরুতেয়।       ৪২


চলবে...


******************************
(Line - 23 to 4২: The general prologue of canterbury tales by GEOFFREY CHAUCER))
এটা চসার কতৃক রচিত মূল লেখা-


At nyght was come into that hostelrye
Wel nyne and twenty in a compaignye
Of sondry folk, by aventure yfalle
In felaweshipe, and pilgrimes were they alle,
That toward Caunterbury wolden ryde.
The chambres and the stables weren wyde,
And wel we weren esed atte beste.
And shortly, whan the sonne was to reste,
So hadde I spoken with hem everichon
That I was of hir felaweshipe anon,
And made forward erly for to ryse,
To take oure wey ther as I yow devyse.
But nathelees, whil I have tyme and space,
Er that I ferther in this tale pace,
Me thynketh it acordaunt to resoun
To telle yow al the condicioun
Of ech of hem, so as it semed me,
And whiche they weren, and of what degree,
And eek in what array that they were inne;
And at a knyght than wol I first bigynne.


******************************
মধ্যযুগীয় ইংরেজি ভাষা থেকে আধুনিক ইংরেজিতে রূপান্তরকৃত


At night had come into that hostelry       23
Well nine and twenty in a company
Of various sorts of people, by chance fallen
In fellowship, and they were all pilgrims,
Who intended to ride toward Canterbury.
The bedrooms and the stables were spacious,
And we were well accommodated in the best way.
And in brief, when the sun was (gone) to rest,
I had so spoken with everyone of them
That I was of their fellowship straightway,
And made agreement to rise early,
To take our way where I (will) tell you.


But nonetheless, while I have time and opportunity,
Before I proceed further in this tale,
It seems to me in accord with reason
To tell you all the circumstances
Of each of them, as it seemed to me,
And who they were, and of what social rank
And also what clothing that they were in;
And at a knight then will I first begin.     42


******************************
একযোগে (১-৪২তম লাইন)


সুমিষ্ট জলধারা নিয়ে যখন এপ্রিল আসে            ১
তখন মার্চের খরা মাঝের বৃক্ষরাজি পুলকে হাসে।
বৃক্ষের প্রতিটি শাখা প্রশাখা বৃষ্টিজলে ভিজে
পুষ্টিরসে কত ফুল ফোটায়, ভালো লাগে কি যে!
যখন সুমধুর উতরোল পশ্চিমা পবনও ধায়
পাহাড়ী বন, উষর প্রান্তর যেন জীবন খুঁজে পায়।
কত কচি কচি শস্য আর অরুণ জেগে উঠে
এবং মেষরাশি পলকেই যায় অর্ধপথ ছুটে।
ছোট ছোট পাখির কণ্ঠে খেলা করে গান
তাদের বিনিদ্র আঁখি ঘটায় রাত্রির অবসান।       ১০
(প্রকৃতির সৌন্দর্য ছেয়ে ধরে, তাদের অন্তরে)
এমনি স্নিগ্ধ সময় তীর্থযাত্রী, তীর্থযাত্রা করে।
ছুটে চলে তীর্থযাত্রী, দেশ বিদেশের দূরদূর তীরে
বিভিন্ন স্থানে, চেনা অচেনা মাজারের ভিড়ে,
                 প্রধানত প্রতিটি প্রান্তের শেষে
ভ্রমণ করে ইংল্যাণ্ড হতে ক্যান্টাবেরির দেশে
যায় পবিত্র পুণ্যবান শহীদের আত্মার সন্ধানে
যারা (পবিত্র আত্মা) অসুখে তাদের সুস্থতা আনে।
এমনি হয়েছিল একদিন সেই মৌসুমে,
আমি ট্যাবার্ড সরাইয়ে ছিলাম শুয়ে নির্ঘুমে,      ২০
তল্পিতল্পা নিয়ে যেতে প্রস্তুত তীর্থযাত্রার পথে
ক্যান্টারবেরিতে খুব ধর্মভীরু মনোরথে।          ২২
সেই সন্ধ্যায় সরাইখানায় এক ভীষণ কোলাহল  ২৩
এসেছে নয় এবং কুড়ির (২৯জনের) এক সংঘবদ্ধ দল
তারা একেকজনে একেক পেশার, একেক দয়াদাত্রী
ঘটনাচক্রে তারাও ছিলো, সবাই তীর্থযাত্রী
তাদের সকলেরও যাত্রা ছিল ক্যান্টাবেরির দিক
সরাইখানার শোবার ঘর-আস্তাবল, প্রশস্ত ছিল ঠিক।
আমাদের জায়গা ছিলো সেরা সবার চেয়ে
সূর্য তখন ঘুমবিশ্রামে, ভীষণ ক্লান্তি পেয়ে।       ৩০
রাতসুযোগে, সবার সাথে, গল্প হলো ভালো
তারা তখন, সবাই আমার, যাত্রা পথের আলো।
কথা হলো যাত্রা হবে, ভীষণ ভীষণ প্রাতে
যেথায় যাবে, আমিও যাবো, তীর্থদলের সাথে।
আমার কাছে সময়-সুযোগ দুটোই বেশি আছে,
তাদের পরিচয়টা জানান দেই, গল্প বলার পাছে
শুনলামটা কি, জানলামটা কি, জানিয়ে দিতে সব
যুক্তিযুক্ত বেশি হবে, এটা আমার অনুভব।
অল্প কিছুই জানা হলো, রাতের গল্পস্বল্প মাঝে
তারা কে? করে টা কি? ন্যস্ত কি কাজে?          ৪০
জানান দিবো বেশভূষা, পোশাক পরিধেয়
যেমন এক নাইটের কথা বলবো শুরুতেয়।       ৪২



(জীবনে প্রথম অনুবাদ শুরু করি এই কবিতাকাহিনী দিয়ে। যদি ভুলভ্রান্তি হয়, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে সঠিক পথ দেখিয়ে দেবেন। আপনাদেরকে পাঠ করার জন্য জানাই গভীর ভালোবাসা আর পরম শ্রদ্ধা।)