সরাইওয়ালা বলেন, মহাশয় নাইট, প্রভু, অধিপতি মহান্ত
এখন একটা খড়ের ডাটা টানুন, এটা আমার সিদ্ধান্ত।
সে আবার বলে, "কাছে আসুন, আপনি অতিশয় ভদ্র নারী
লজ্জা করার কিছু নেই, আপনিও নেন মহোদয় পাদ্রি।
আসুন, কেউ কাজটিকে মনে করবেন না কঠিন
আসুন, সকলে একটি করে খড়ের ডাটা টেনে নিন"।
সৌভাগ্যবশতভাবে কিংবা হয়তো কোনো আকস্মিকে
নাইট মহাশয়ের ঘাড়েই ছিড়ে পড়ল কাহিনীর শিকে।
কারণ নাইট মহাশয়ের খড়ের ডাটা ছিল সবার ছোট্ট
তাই সকলে আনন্দ খুশিতে তখন পুরাই হইহট্ট।
আমাদের পূর্ব শপথ আর রাতের সম্মতি অনুসারে
গল্প বলার ভারটা পড়ল এখন নাইট মহাশয়ের ঘাড়ে।
কাজেই এখন আর কথা বাড়িয়ে লাভটা কি কন?
নাইট ছিল ভীষণ বাধ্য এবং বুদ্ধিমান বিচক্ষণ। ৮৫০
নাইট পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলে, তার কথামতো
গল্প যখন আমার ঘাড়ে, তাই আমিও বলতে সম্মত।
সুতরাং প্রভু ঈশ্বর খোদাবন্দের নাম শপথ নিয়ে তবে
আমাদের খেলাটা অবশ্য শুরু করাই ভালো হবে।
নাইট বলে, "যাত্রীগণ কালবিলম্ব না করে অযথা
আসুন চালিয়ে দেই ঘোড়া আর শুনুন আমার কথা"।


নাইটের কথা শুনে, আমরা সবাই ঘোড়া দিলাম ছেড়ে
নাইট আমেজে গল্প শুরু করে, ঠিক নিচের মতো করে।


কিছু কথা


( এতদিন সরাইখানায় পৌঁছানো ২৯ জন তীর্থযাত্রী, সরাইমালিক এবং লেখক চসারের পরিচয় পর্ব চলছিল। আজকে তাদের পরিচয় পর্ব শেষ।


শেষে নাইটের ঘাড়ে গল্প বলার দায়িত্ব পড়েছে। দেখা যাক নাইট কোন গল্প বলে....
নাইটের গল্প অনুবাদ করে নিয়ে আসছি পরবর্তীতে।
ইনশাআল্লাহ আপনারা সাথে থাকবেন। প্রার্থনা করবেন যেন সম্পূর্ণ অংশ অনুবাদ করে দিয়ে যেতে পারি)


যেহেতু প্রথম অনুবাদ তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।
ধন্যবাদ সকল কবিবৃন্দকে।