থিসিয়াস অর্ধদিনও গেলেন না অবসরে
সেই রাতেই যাত্রা হলো থিবিসের তরে ।৯৭০
রাণী হিপোলিটাকে পাঠিয়ে দিলেন ঘরে
রাণীর সুন্দরী বোন এমেলিরে সাথে করে।
এথেন্স শহরে থাকবে তারা সেখানেই বাড়ি
থিসিয়াস দিল ঘোড় ছুটিয়ে থিবিসেতে পাড়ি।
বর্ম বর্শা, রণদেবতা মারসের জ্বলজ্বল মূর্তি
বিশাল পতাকায় বাড়ায় শোভা কীর্তি
মাঠে ঘাটে ছড়িয়ে দেয় আলো আলোড়ন
তারি পাশে এক ছোট সোনালী পতাকার শোভন
তাতে ক্রীটের যুদ্ধে নিহত অর্ধ বৃষের আঁকা ছবি,
থিসিয়াসের জয়জয়কার করে, সাক্ষ্য দেয় সবি।
এইভাবে দিগবিজয়ী বীর..........
শ্রেষ্ঠ সসৈন্যে ছুটি গিয়ে থিবিসে হাজির।
পরিবেশ পরিস্থিতি উজান-ভাটি বুঝে
যুদ্ধের জন্য প্রশস্ত এক মাঠ নেয় খুঁজে।
সংক্ষেপে বলি, থিসিয়াস ফ্রেয়নে যুদ্ধ হলো বেশ
থিবিসের রাজা ক্রেয়নকে হত্যা করে শেষ।
থিসিয়াসের সৈন্য যুদ্ধ করে তার পাশে
নগরখানা করল দখল হাজার হাজার লাশে
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনে জয়,
বিশ্ব তাকিয়ে বিস্ময়।
মৃত কংকাল যা এতোদিন পড়েছিল
সবগুলো স্ত্রীদের হাতে তুলে দিল
যেন তারা তাদের প্রচলিত রীতি অনুসারে
শেষকর্ম করতে পারে কবর কিংবা সৎকারে।
যখন যোগ্য প্রকৃতবীর ডিউক থিসিয়াস
ক্রেয়নকে হত্যা করে, পায় জয় উল্লাস
তখনও বিশ্রামে থেকে যায় রণক্ষেত্রে
প্রশান্তি নেমে আসে জনগণের নেত্রে।
ক্রেয়নকে পরাজিত করে, যুদ্ধের পরে
বহু সৈন্য রণাঙ্গনে পড়ে আছে মরে..........
দুই যুবক নাইটের দেহ পাশাপাশি শয়ান
একই রকম পোশাক পরিচ্ছদে দেখতে ধনবান।
তাদের মধ্যে আর্কাইট নামে একজন
অপরজনের পরিচয় নামে পালামন।
দুই জনের তারা জীবিত- মৃত
বর্ম ঢাল তলোয়ারে তাদের দেহ আবৃত।
নকিবরা দুইজনকে চিনতো ভালো মত
দুই জনের দেহে প্রবাহমান রাজকীয় রক্ত।
থিবিসের দুইবোনের গর্ভের সন্তান দুজনে;
লুঠেরারা তাদেরকে বের করে টেনে ১০২০
সযত্মে নিয়ে যায় থিসিয়াসের কাছে,
থিসিয়াস অনতিবিলম্বে দুজনকে পাঠান এথেন্সে।
সেখানে রাখেন তাদের আজীবন কারারুদ্ধ করে
থিসিয়াস শুনেননি কথা, তাদের হাতজোড়ে।
যোগ্য ডিউক এভাবেই তাদের শাস্তি দেয়
অতপরেই সসৈন্যে এথেন্সের রাস্তা নেয়।


চলবে...