গ্রীষ্মের রৌদ্রদাহে মাটি খাক; খাঁখা করে প্রান্তর
বৃক্ষডালে হা করে জোড়কাক; বৃষ্টি চেয়ে আকাশে
আড়ালে ক্লান্তি হাসে অবিরাম; লেলিহান বাতাসে
কপাল বেয়ে নামে ক্লান্ত ঘাম; মেয়ে শান্ত নির্ঝর।


চিকন হয়ে শাড়ি আড়াআড়ি; থাকে বুকের ‘পর
শত কাজে মনোনিবেশ ভারী; পলক নুয়ে আসে
তবু নির্ঘুম থেকে যায় চোখ; এমনি বারো মাসে
বুকের ভাজে চেয়ে অপলক; নির্লজ্জ দৃষ্টিখোর।


বুকে ভাংগা বোতাম গেছে খুলে, নেই সংকোচভর,
জগত সংসারের ক্লান্তি ভুলে কাজে অনায়াসে-
ব্যস্ততা ভীষণ জড়িয়ে থাকো; এক দীপ্ত উল্লাসে
জীবন সংগ্রাম জড়িয়ে রাখো; হয়না অগোচর।


রৌদ্রে কালচে শরীরে ঘামাচির; আসি আসি ভাব,
বিরামহীন যন্ত্র বিশ্ব বিধাত্রীর; নাইকো অবসান;
বিন্দুশ্বাসে খোঁজো মুক্ত প্রয়াস; উচ্ছ্বাস অভিমান-
নেই কোনো, যেনো জীবন্ত লাশ; মৃত তিক্ত শরাব।


উন্মুক্ত গতিশীল কর্মক্ষেত্র। বাস্তবতার খোয়াব
চুমু দেয় ঘর্মাক্ত শ্রেষ্ঠ নেত্র; ক্লান্তিতে নামে ম্লান
সূর্য্যি তোমা অনুসরণে নিত্য; দিগন্তে বহমান
কালের যাত্রায় তুমি সত্য; চিরন্তন লা-জবাব।


২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


(কাব্যগ্রন্থ- শিশিরের হাসি)