আমার  ছেলে বেলার গল্প,
আজ সবাইকে বলব অল্প।
কেউ ডেকে যদি বলত খোকা,
নির্দ্বিদায় বলতুম আপনার দাঁতে পোঁকা;
হেঁসে কহিত মোরে পাঁকা।
সারাদিন টই টই করে বেড়াতাম,
মনের ভেতর হই হই করে রং মিশাতাম।
চোখ ঘুরালেই কাছে-দূরে,
হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে মনের সূরে।
রং-ঢং-চং ঝনৎকারে সাজাতাম,
ভেঙ্গ করে ঝুকার হয়ে হাঁসাতাম।
খাওয়া-দাওয়া পড়াশোনার নাম,
ছিল না নিজের কাছে কোন দাম।
খেলতাম মার্বেল, কানামাছি আর দূরন্ত ঘোল্লাচুট,
আরও খেলতাম হা-ডু-ডু আর নাক্কিমুট।
মাঝে মাঝে ঘুমের ঘরে খেলার ছলে সারা ঘরে হাঁটতাম,
বাবা-মা দেখে বলে, দেখ ছেলের কান্ডখান।
মাছ ধরতাম, গাছে উঠতাম আর যাত্রাগান দেখতাম,
রাজনপরীর কেচ্ছা আর দাদুর মুখের গল্প শুনে শিখতাম।
জীবন-মরণের ছিল না কোন ভাবনা,
ছিল, সারাক্ষণ ঘুরা আর মনের কথার বাজনা;
এখন দিতে হচ্ছে নিয়মের ফ্রেমে বাঁধা সব কিছুর খাজনা।