চারিদিকে আওয়াজ উঠছে_
"শান্তি দা, একটা টোস্ট,
তিনটে কচুরি,
চারটে চা শান্তি দা ।"


শান্তি দা হাসিমুখে মিটিয়ে দিচ্ছেন সবার আবদার;
সূর্য যেমন নীরবে হেসে ছড়িয়ে দেয় সবার প্রাণে আলো ।


কলেজ ক্যান্টিনে গমগম করে অস্হিরতা ।
শুধু একটা মানুষ
কী শীত, কী গ্রীষ্ম, কী বর্ষা
সুন্দর দৃশ্যের মতো দাঁড়িয়ে থাকে জ্যোৎস্নার কোমলতা নিয়ে ।
কুৎসার ধার ধারে না কভু,
ফুলের মতো হাসতে থাকে শুধু__
নিজেও নেয়, অপরকেও দেয় মিষ্টি সুঘ্রাণ ।


মাঝে মাঝে মনে হয়__
তাঁর দু্ঃখ কষ্ট ব'লে কি কিছুই নেই !
নিশ্চয় আছে __
না হলে এমন ভুবনভোলানো হাসি হাসতে পারে না কেউ ।
অথচ আমরা কেউ তাকে বুঝতে পারি না ।
বুঝতে চাই না আসলে কেউ,
সময় যে নেই কারো হাতে ।


একদিন শান্তি দা শুনিয়েছিল,
একজন কেউ এই ক্যান্টিনে এসে
কেমনভাবে পুরনো স্মৃতির ভিড়ে হারিয়ে গিয়েছিল ।
শান্তি দা'র একটা ডাকে যখন সে
ফিরে এসেছিল তাঁর স্হিতিতে,
চোখে ছিল জল তাঁর
মুখে ছিল না কোনো ভাষা ।


শুনতে শুনতে ভাবছিলাম _
কত দ্রুত মুহূর্তরা আসে
রং ছড়ায়, শেষে আবার সেই অনন্তে বিলীন হয়ে যায় ।
শুধু থেকে যায় শান্তি দা
পুরোনো কোনো মুদ্রাদোষের দায়ে ।


আমরা তরুণ,
আমাদের বুকে অনেক আঘাত আসে ।
বহুবার ভেঙে পড়ি,
বহুবার উঠেপড়ে লাগি ।
অনেক মানুষ আসে,
হৃদয়ে রেখে যায় অনেক দাগ,
অনেক কথার কম্পন ।
অথচ নীরব থেকে
এ হৃদয়ে গেঁথে থাকে
শান্তি দা'র স্মৃতি কোনো গানের মতন ।।