ছাড়লে তুমি শেষ নিঃশ্বাস
রবে পরে হয়ে নিথর এক লাশ
স্বজনরা করবে হা-হুতাশ
বন্ধুরা সব কাটবে বাঁশ।
কেউবা করবে বড়ই পাতার গরম জল
কেউবা শোয়াবে তোমায় চাদুয়ার তল
ঢালবে পানি কেউবা বদনার নলে
গোসল দিবে তোমায় শেষ বার কালে।
কেউবা পড়াবে সাদা কাফন
করতে তোমায় গোরেতে দাফন।
কেউবা করবে কবর খনন
কেউবা করবে খাটিয়া বহন
যাতে করবে তুমি আরোহণ
রবে নিরব নিস্তব্ধ চির নিদ্রিত শয়ন।
জানালা হীন বাতি বিহীন
তিমির ঐ মাটির ঘরে
থাকবে তুমি অনন্তকাল ধরে
বিলাসিতায় কাটিয়েছ যে জীবন
সাপ, বিচ্ছু, পোকা-মাকড় তোমায় করবে দংশন
দিনে দিনে আর তিলে তিলে হবেই দহন।


কিসের কর এত অহংকার
দম ফুরোলেই  নির্বিকার।
ভেবে কী দেখেছো একবার
কতটুকু তোমার? করেছো যা অর্জন
বিদায় বেলায় যার সব’ই হবে বর্জন!
তাই বলি এসো, কোরআন খুলে দেখো
কোন পথে তাঁর নেয়ামতপ্রাপ্তরা
কোন পথে তাঁর অভিশপ্তরা
কী বা তাঁর আদেশ,
কী বা রয়েছে তার নিষেধ?
কী বা উদ্দেশ্য তাঁর
তোমার ধরণীতে আসবার
কী বা কর্ম নিত্য দিন করবার?


সকলের উর্দ্ধমতে এসো কোরআনের পথে
যেখানে রয়েছে দৃশ্যতঃ দু’টি ধারা
একটি খোদা ভীরু সফলকামী
পথিক তাঁরা মহান রবের অনুগ্রহ প্রাপ্ত যারা,
যার এক প্রান্ত কণ্টকাকীর্ণ দুর্গম
অপর প্রান্ত পুষ্পিত সুগম
শেষ প্রান্ত সীমায় রয়েছে যার সুসজ্জিত বাগান
আর পাদদেশে প্রবহমান ঝর্ণা ধারা।
মুনাফিক, অস্বীকারকারীদের অপর পথ ধারা
পৃথিবীর মায়াজালে হয়ে আত্মহারা
পথিক যারা মরদুদ শয়তানের অনুসারী তারা ।


সরল পথ জান্নাত বাতিলের পথ জাহান্নাম
জাহান্নাম সেতো বিভীষিকা অসহ্য যন্ত্রণা
জান্নাত সেতো অনাবিল সুখ, শান্তি
আর পরিতৃপ্ত ভোগ বিলাসের উন্মাদনা।


নিয়তি সেতো পূর্ব নির্ধারিত
কর্মের দ্বারা যা পরিবর্তন যোগ্য,
পরিণতি সেতো তোমার অর্জিত
যা অবশ্যই হবে তোমার ভোগ্য।
তাই এসো কুরআন পড়ি জীবন গড়ি
রসুল (স.) কে করি পরিপূর্ণ অনুসরণ
মৃত্যু নিয়তি তোমার সেতো অবধারিত
পুণ্য হাতে ঈমানের সাথে
করিগো যেন তারে বরণ।