(“১০ মে ‘মা’ দিবস”  শুধু একটি দিন ‘মা দিবস’ হতে পারে না।  বছরের সব দিনই মায়ের,  কারণ একজন মা-ই সন্তানের পৃথিবী)


এক বর্ণে লেখা ছোট একটি শব্দ,
যাঁরে নিয়ে স্বর্ণে আঁকা
হয়েছে লেখা মহা কত কাব্য
কবিতা ছড়া, আরও কত ছন্দ!
আমরই স্বল্প জ্ঞানে
ভালোবাসার মধুর টানে
তাইতো রচিলাম অল্প,
নয়তো অসাড় কোন গল্প।
লেখিলাম অদ্য(০৯/০৪/২০১৯) ছাপিলাম সদ্য (১০/০৫/২০২০),
ভাবিলাম গদ্য, পড়ে দেখি পদ্য।


মা আমার অসীম আঁধার
ভালোবাসা আর স্নেহ মমতার,
মা আমার মহা উদার
আছে যা বিশ্ব সভার।
মা আমার নিরাপদ আবাস
জীবণদায়ের নির্মল বাতাস,
মা আমার শিক্ষা নিবাস;
সঠিক দিকের মুক্ত আকাশ।
মা আমার শিক্ষক মহান,
আছে যা বিশ্ব জাহান।
হাঁটা, চলা আর কথা বলা,
সব শেখা মা’র ধরে গলা।


আঁচল ছেড়ে হাতটি ধরে
চলি আমি মা’কে ঘিরে,
হামাগুড়ি আর ধাপে ধাপে
নির্দেশনা মা’র মাপে মাপে
দুষ্টামি আর নোংরামিটা
শুদ্ধি করেন আদর করে।


প্রাইমারী আর হাই স্কুলেতে,
মা আমারই সাথে সাথে
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বা পরীক্ষাতে
মা আমার জায়নামাযেতে
তাঁরই হাত দুখানি
উঠে রেখে আকাশ মনি
খোদারই দরাবারেতে
নিত্য দিনে কিংবা রাতে
আমারই হায়াত চেয়ে,
বলে যে মা চোখ ভিজিয়ে
ইয়া শাফিআল মুজনেবিন,
আমারই নয়ন মনি
তোমার দেওয়ায় পেলাম আমি
রেখো তারে সুখ ভোরে
দীর্ঘায়ু জীবন তরে
ওগো রব্বুল আলামিন।


মায়ের ঐ আঁচল খানি
পৃথিবীর সবচেয়ে দামী,
তাঁরই দুগ্ধ খানি
আমারই জীবন দায়ী,
তাঁরই দুই নয়ন,
সজাগ রেখে সারাক্ষণ,
পাহারা দিয়েছেন মা
আমারই সারা গা;
আঘাত লাগতে দেয়নি
তাঁরই সারা জীবন।


মা আমার মনোবিজ্ঞানী,
খোদা তায়ালার রহমত জানি
ক্ষুধা পেটে ভাষাহীন মাকে পেতে
করেছি যখন কান্না,
খেতে দিতে হাজির হতে
নেয়নি সময় ফেলে রেখে রান্না।


আমরই অসুখ হলে,
আগলিয়ে রাখেন তাঁরই কোলে
যখন আমার ঘুম আসেনি
গেয়েছেন গান ঘুমপাড়ানি,
গানেরই তালে তালে,
চুমু আঁকেন আমার গালে
আদর সোহাগ আর মিষ্টি সুরে
তন্দ্রা আসে চক্ষু জুড়ে।


মা আমার সবার সেরা,
আছে যা বিশ্ব জুড়া
আমারই আঘাতের কথা,
না দেখেই মা পান যে ব্যথা
চোখেরই আড়াল হলে
কাছে কিংবা দূরে গেলে,
প্রতিবেশী বন্ধুর সনে
খবর নেন ক্ষণে ক্ষণে
বারান্দায় মাদুর পেরে
ঢেকে রেখে ভাত যে বেড়ে
কখন আমি আসবো ফিরে
তাঁরই ঐ সাজানো নীড়ে
ধুয়ে হাত খাবো ভাত
দেখবেন তিনি নয়ন মেলে।


খোদার তরে জনম ভরে,
কবির ভাষায় বলি মা’রে....
“তুমি আমার আগে যেয়ো নাগো মরে...”,
হে আল্লাহ বেঁচে রেখো মা’কে মোরে
সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু করে।